আমরা যারা মনে করি এসব কার্ড দিয়ে আমরা ডিসকাউন্ট পাই তাহলে আমরা ভুলের স্বর্গে আছি।বেসরকারি সব হাসপাতাল-ক্লিনিক সত্যিকার অর্থেই মুনাফার জন্য ব্যবসা করে।তবে হ্যা,তারা রোগীদের অবস্থা ও বিল সাপেক্ষে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে।তবে এটা একান্ত প্রয়োজন হলে।
হাসপাতাল বা ক্লিনিক কতৃপক্ষ তাদের সেবার যে মূল্য নির্ধারণ করেন তা সেবার কোয়ালিটি ও অন্যান্য আনুসঙ্গিক চার্জ এর সমষ্টি।এর থেকেই হাসপাতালের স্টাফ বেতন,বিদ্যুৎ,পানি,কেমিক্যাল বা রিয়েজেন্ট,পপশেন্ট সাপোর্টিং হাজারো খরচের এর পেমেন্ট।
হাসপাতাল বা ক্লিনিক কতৃপক্ষ তাদের সেবার মূল্য কখনো কমাতে চাই না বা চাইলেও পারবে না।হয় মূল্য বাড়িয়ে আপনাকে ডিসকাউন্ট দিতে হবে না হয় সেবার মান বা টেস্টের কোয়ালিটি কমিয়ে আপনাকে ডিসকাউন্ট দিতে হবে।
অন্য কোন উপায় নেই।
এবার আসুন, যারা বলে আমার/আমাদের কথা বলুন বা রেফারেন্স দিন, কমিয়ে রাখবে/ডিসকাউন্ট দিবে—-কতটা সঠিক?
এটা আসলে উপরের থিওরী বাস্তবায়ন করে,সাথে রোগী প্রতি রেফারের জন্য একটা কমিশন পেয়ে থাকে।
এতে রোগী কোন ভাবেই উপকৃত হয় না,বরং ক্ষতিগ্রস্থ হয়।ব্যক্তিগত ভাবে অনুরোধ করলে যে পরিমাণ ডিসকাউন্ট পেত,এখন সে তাও পায় না।
যে ডিসকাউন্ট টা পায়, তা সাধারণত বাড়িয়ে তারপর দেয়া হয় অথবা ছোট ছোট ল্যাব গুলো টেস্ট অমিট করে বা বালতি টেস্ট করে।
ব্যক্তিগত ভাবে আপনি নিজে গিয়ে টেস্ট করালে এবং আপনার ডাক্তার যদি কমিশন না খায়, তাহলে ব্লাড টেস্ট গুলোতে ৩০% করে ডিসকাউন্ট দেয়া সম্ভব এবং অনেক ল্যাব দেয়।বাকী ইমেজিং টেস্ট গুলোতে ১০%-১৫% ডিস্কাউন্ট দেয়া সম্ভব।
আমার কথা গুলোর সত্যতা পাবেন যারা হাসপাতালের রিসেপশনে কাজ করেন তাদের সাথে কথা বলে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক,
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট