আমাদের দেশের অধিকাংশ রোগীরা অপচিকিৎসার শিকার হয়, এর প্রধান কারণ আশিক্ষা এবং অসচেতনতা।
কিছুদিন আগে দেখলাম এক মায়ের নরমাল ডেলিভারির পর তার প্লাসেন্টার কিছু অংশ জরায়ুর ভিতর রয়ে যায়, এরপর তিনি একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানের গাইনি ডিপার্টমেন্ট এর হেড এর শরণাপন্ন হন, প্রথমবার তিনি ডিএনসি করে তা বের করার চেষ্টা করেন।
গর্ভবতী মায়েদের প্রি-এক্লাম্পসিয়াঃ কেন হয় এবং করনীয়
কিন্তু ডিএনসি করে তা আনা সম্ভব হয়নি-এরপর আর কোনোভাবে চেষ্টা না করে ল্যাপারোটমি/পেট কাটা হয়, অর্থাৎ জরায়ু বা ইউটেরাস কেটে নিয়ে আসেন, যাকে মেডিকেল ভাষায় হিস্টারোটমি বলা হয়। এই ধরনের সমস্যায় এমন চিকিৎসা খুবই অবাক করার মত ব্যাপার!! কারণ অন্য সকল চেষ্টা ব্যর্থ হলে রোগীর জীবন বাঁচাতে এটা করা হয়।
এই চিকিৎসা তার পরবর্তী রিপ্রোডাক্টিভ লাইফকে আরো জটিল করে তুলবে।
এই ধরনের অপারেশনের পর পরবর্তী বাচ্চা নেবার সময় জরায়ু ফেটে যাবার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেশি থাকে।
তাই পেশেন্ট কেও ভালোভাবে কাউন্সেলিং করতে হয়।
তবে দেখলাম রোগীর এ ব্যাপারে কোনো ধারনাই নেই।
বয়স ৩০ এর পরের বিয়েতে নারীদের বাচ্চা নিতে কি সমস্যা হতে পারে ?
বস্তুতপক্ষে নরমাল ডেলিভারির পর প্লাসেন্টার কিছু অংশ জরায়ুর ভেতর থেকে গেলে এটা সমাধানের বিভিন্ন চিকিৎসা পদ্ধতি আছে, সেগুলো হচ্ছে –
# ম্যানুয়াল রিমুভাল
# ডিএন্ডসি করা
# কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট বা অপেক্ষা করা
# জরায়ু সংকোচনের জন্য বিভিন্ন মেডিসিন প্রয়োগ করা।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ স্ত্রী ও প্রসূতীরোগ বিশেষজ্ঞ
নিজের রোগ বা সমস্যা নিয়ে সামান্য সচেতনতা এমন চিকিৎসা পদ্ধতির শিকার হওয়া থেকে বাঁচাতে পারে।
সিনিয়র ডাক্তার মানেই যে সঠিক ট্রিটমেন্ট করছে এমন অন্ধবিশ্বাস থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
ডা. নুসরাত জাহান
অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর( গাইনি)
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ
চট্টগ্রামের সেরা ১০ নিউরো-মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
চট্টগ্রামের সেরা ১০ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
চট্টগ্রামের সেরা ১০ মানসিকরোগ বিশেষজ্ঞ