PLID (পিএলআইডি) এটি অত্যন্ত প্রচলিত একটি শব্দ। আমাদের দেশের অধিকাংশ কোমর ব্যথার রুগি, কারণ হিসেবে PLID এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাড়ক্ষয় রোগকে দায়ী করে থাকে।।কিন্তু কথাটা মোটে ও সত্য নয়।
কোমর ব্যথার কারণের মধ্যে সত্যিকার অর্থে PLID শতকরা ৩ থেকে ৫℅ ক্ষেত্রে দায়ী।
PLID রোগের লক্ষণ কিভাবে প্রকাশিত হয় ??
PLID রুগিরা সাধারণত কোমর ব্যথার সাথে এক পায়ে ( কিছু ক্ষেত্রে দুই পায়ে ই) ব্যথা নিয়ে আসে, ব্যথার সাথে পায়ে ঝিনঝিন করা, কনকন করা, খোঁট মারা, পায়ের স্পর্শ সেন্স কমে যাওয়া( পা বেশোদ হয়ে যাওয়া) হতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে কোমর- ব্যথা কমে গিয়ে শুধু পায়ে সমস্যা থাকে। এধরণের অল্পকিছু রুগির প্রস্রাব- পায়খানাতে ও সমস্যা হতে পারে।
কারণ কি ???
সাধারণত যারা কোমর ঝুঁকে ভারী কাজ করে, কোমরে আঘাত পাওয়া, কিছু ইনফেকশন এ ও এটা হতে পারে।
এই রোগের লক্ষণের সাথে মিলে যায় এরকম আর ও কিছু রোগ রয়েছে- যেমন দীর্ঘমেয়াদি কোমরের ইনফ্লেমেশন ( SpA), স্পাইনাল ক্যানেল স্টেনোসিস, ডিস্ক ইনফেকশন, মেরুদন্ডের ক্যান্সার ইত্যাদি।
আপনার করণীয় কি ??
সকল কোমর ব্যথা কে PLID না ভাবা
PLID এর মত রোগ গুলোকে সনাক্ত করা
সত্যিকার PLID রুগি শনাক্ত করা
তারপর চিকিৎসা করা
কাদের ক্ষেত্রে MRI প্রয়োজন হয়–
যাদের দুই পায়ে ই সমস্যা থাকে
যাদের পায়খানা প্রস্রাব এ সমস্যা হয়
যাদের পায়ের মাংশ শুকিয়ে যাচ্ছে
যাদের জ্বর, ওজন কমে যাওয়া, আঘাতের বা ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে
চিকিৎসা ——-
**** খুব গুরুত্বপূর্ণ,
বেশীরভাগ রুগি ঔষুধ, কিছু নিয়ম- কানুন মেনে চলা, কিছু ব্যায়াম করে ভাল হয়ে যান, তবে যাদের PLID রোগের লক্ষনসমূহের ন্যায় অন্য রোগ থাকে তাদের চিকিৎসা, রোগ অনুসারে করতে হবে। তাদের PLID এর চিকিৎসা দিয়ে উপকার হয় না। খুব অল্প সংখ্যক রুগির অপারেশন লাগতে পারে।
মনে রাখবেন, PLID রোগ নির্ণয় করার আগে PLID সদৃশ রোগসমূহ কে রুগির রোগের ইতিহাস ও কিছু ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা করে চিন্তা করা বা বাদ দেয়া উচিত। তারপর সত্যিকার PLID রুগিগুলোর মধ্যে আলাদা করতে হবে কাদের ঔষুধ- ব্যায়াম এ ভাল হবে, কাদের অপারেশন লাগবে।।
তাই কোমর ব্যথার শতকরা ৩ থেকে ৫ ভাগ কারণ হিসেবে PLID-কে বেশিরভাগ কোমর ব্যথার কারণ ভাববেন না।