A Leading Doctor information Site In Chittagong

d2
d1
WhatsApp Image 2025-04-21 at 22.16.33_3e14866c
kk
4
a5
a3
5
dr3 (1)

সাইকেল চালালে আপনার যে ৭ টি রোগ দূর হবে

সাইকেল চালালে আপনার যে ৭ টি রোগ দূর হবে

২০২০-২০২১ এসে আমাদের মনে সবচেয়ে যে শব্দটি উঁকি দিয়েছে,তা হল “সুস্থতা”। আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে শারীরিক মুভমেন্ট আমাদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে সুস্থ রাখতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে।মনেও আনে প্রশান্তি।

শারীরিক মুভমেন্ট বিভিন্ন ভাবে করা যায় যেমনঃ খেলাধুলা, সাঁতার,জিমে যাওয়া,হাঁটা ইত্যাদি।তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে মজাদার ও স্বাস্থ্য সম্মত মুভমেন্ট হয় সাইক্লিং বা সাইকেল চালালে।এতে একসাথে পুরো শরীর মুভ করে এবং পায়ের জয়েন্ট গুলোতে অত্যাধিক চাপ পড়ে না।এটি শুধু আনন্দ নয়,একি সাথে এটি ব্যায়ামও।

আমাদের শহুরে জীবনে শারীরিক পরিশ্রম একেবারেই হয় না।সাথে “air refreshment” এর সুযোগও কম।এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে সাইকেল।একইসাথে শারীরিক পরিশ্রম ও মনের আনন্দ দুটোই হবে।

ফেসবুক গ্রুপ গুলোর হেলথ কার্ড বা ডিস্কাউন্ট কার্ড স্রেফ একটা ধোঁকাবাজি

এছাড়াও সাইকেল চালানো বড় ৭ টি রোগ থেকে আপনাকে রক্ষা করেঃ

১) হৃদরোগ

২) ডায়াবেটিস

৩) ফুসফুসের রোগ (ব্রংকাইটিস)

৪) ক্যান্সার

৫) আথ্রাইটিস

৬) ওবেসিটি

৭) ডিপ্রেশন

 

# হৃদরোগ

যেমন- স্ট্রোক,উচ্চ রক্তচাপ,হার্ট এট্যাক ইত্যাদি।নিয়মিত সাইকেল চালালে আপনার হার্টের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়বে এবং হার্টের ম্যাসল গুলো ভালো থাকবে।এতে চর্বি জমার সম্ভাবনা কমে যাবে।১৪ বছর ধরে ৩০হাজার লোকের উপর চালানো একটি ডেনিশ গবেষণায় দেখা গেছে, ২০-৯৩ বয়সী মানুষ গুলোর মধ্য তাদেরই হার্ট সুস্থ আছে, যারা নিয়মিত সাইকেল চালাতেন বা সাইক্লিং করতেন।

# ডায়াবেটিস

এটি একটি মারাত্মক কমন রোগ হয়ে দাড়িয়েছে আমাদের সমাজে।বিশেষ করে টাইপ-২ ডায়াবেটিস দিন দিন বাড়ছে।ডায়াবেটিস মূলত একটি অভ্যাসগত রোগ।যার জন্য দায়ী আমাদের শারীরিক পরিশ্রমে অনীহা। ফিনল্যান্ডের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ৩০ মিনিট এর বেশী সাইক্লিং করে তাদের ডায়াবেটিস হবার সম্ভাবনা ৪৯% কমে যায়।

# ফুসফুসের রোগ (ব্রংকাইটিস)

ফুসফুস জনিত রোগ মূলত বাতাস ভেসে বেড়ানো বিভিন্ন প্যাথোজেন থেকেই হয়,তবে আরো বিভিন্ন কারণে হতে পারে যেমন-ধূমপান।আমরা শহরে সবাই মূলত বদ্ধ ঘরে বা রুমে বা বিল্ডিং বাস করি।আমরা ফ্রেশ এয়ার সার্কুলেশন সচরাচর পাই না।যার কারণে দেখবেন,আমাদের নতুন জেনারেশনের বাচ্চারা এজম্যা, নিউৃোনিয়া এগুলো দ্বারা নিয়মিত আক্রান্ত হচ্ছে।সাইকেল আপনাকে এ সমস্যা থেকে বেশ খানিকটা মুক্তি দিতে পারে।নিয়মিত ২০ মিনিট সাইকেল চালালে আপনার লাং ম্যাসল গুলো স্ট্রং ও এক্টিভ থাকে।এতে নিঃশ্বাস নেয়ার প্যাসেজ গুলো ক্লিয়ার থাকে।

একটি ডেনিশ গবেষণায় প্রমাণিত হয়ছে, যারা নিয়মিত গাড়ী ব্যবহার করে অফিসে যায়, তাদের ফুসফুস বা লাং বেশী দূষিত ও আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায় ৩০%

# ক্যান্সার

সাইকেল চালানো ও ক্যান্সার নিয়ে অনেক গবেষক প্রচুর গবেষণা করেছেন।সবগুলো গবেষণা থেকে একটাই রেজাল্ট এসেছে,তা হল- নিয়মিত সাইকেল চালালে ক্যান্সারের ঝুকি কমে যায় বিশেষ করে কোলন ক্যান্সার এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন ক্যান্সারের সম্ভাবনা অনেকখানি কমিয়ে দেয়।

# আথ্রাইটিস

নিয়মিত সাইকেল চালানো আমাদের শরীরকে মজবুত ও ব্যান্সাড রাখে।এটি আমাদের ম্যাসল গুলোকে হাইলি এক্টিভ রাখে এবং সাইকেলে জয়েন্টে খুব বেশী চাপ পড়ে না। তবে যাদের অস্টিওপরোসিস আছে (হাড়ক্ষয়) রোগ আছে তাদের জন্য সাইক্লিং ভালো অপশন নয়।

# ওবেসিটি

ওবেসিটি বা মোটা হয়ে যাওয়া এখন হাসির ব্যাপার নয়,সাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারও নয়।শরীরে ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে এ থেকে নানা ধরনের রোগ জন্ম নেয়।নিয়মিত সাইকেল চালালে এটি আমাদের শরীরের ওজন কমাবে,মেটাবলিক রেট বাড়াবে ও শরীরের চর্বি কমাবে।

নিয়মিত সাইকেল চালালে ১ সপ্তাহে ২ হাজার ক্যালরি বার্ন করা যাবে।ব্রিটিশ এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন আধ ঘন্টা সাইক্লিং এর মাধ্যমে বছরে ৫ কেজি চর্বি কমানো সম্ভব।

# ডিপ্রেশন

সাইক্লিং এর মাধ্যমে বিষন্নতা, স্ট্রেস, উদ্বিগ্নতা ইত্যাদি নেতিবাচক মানসিক সমস্যা অনেকাংশে দূর করা যায়।এটি একই সাথে শরীর ও অবচেতন মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। মানুষের মনকে অপ্রয়োজনীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত রাখে।এট মানুষের রিলিফ রুট হিসেবে কাজ করে।

 

বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরণের সাইকেল পাওয়া যায়ঃ

১) মাউন্টেন বাইক

২) রাইডার বাইক

৩) স্যান্ড বাইক /ফ্যাট বাইক

৪) ফিক্সি বাইক

৫) বিএমএক্স বাইক

৬) হাইব্রীড বাইক

 

কোথা থেকে কিনবেনঃ

এখন অনলাইনে সব পাওয়া যাচ্ছে,শুধু অর্ডার করাটা বাকী।তবে যদি নিজে দেখে শুনে নিতে চান এবং বাজেট সাশ্রয় করতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে নিউমার্কেট ও সদরঘাট,চট্টগ্রাম।এখানে সব ধরণের সাইকেল পাবেন এবং তা পাইকারি দামে।

 

নিয়মিত সাইকেল চালানোর উপকারীতা আসলে অনেক।এখানে আমরা অল্প কিছু এডাভন্টেজ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর গুলো সম্পর্কে জানলাম।আমরা নিজেরা সচেতন হই কারণ Prevention is better than Cure

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

CO2 Fractional Laser আপনার ত্বকের বন্ধু। এবার স্কিনের দাগ দূর হবে, এক নিমিষে!!
Advertisement
Please wait: 6 seconds