ব্লাড গ্রুপ টেস্ট / Blood Group Test খুবই পরিচিত একটি শব্দ।এটি দিয়ে একজন মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয়।প্রত্যেক মানুষের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এটি একটি সেরোলজিক্যাল বা এন্টিজেন-এন্টিবডি টেস্ট।
দামঃ ১০০-১৫০/টাকা
সময়ঃ সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টা সময় লাগে।টেস্ট করতে খুব বেশী সময় লাগে না তবে এটার অবজারভেশনে বেশী লাগে।কারণ ব্লাড গ্রুপিং টেস্টে খুবই দ্রুত ব্লাড সেল ভেঙ্গে গিয়ে ভুল রিপোর্ট আসার সম্ভাবনা থাকে।তাই রিপোর্ট দেয়ার জন্য তাড়া হুড়া করবেন না।
ব্লাড গ্রুপ সবসময়ই এক থাকে,কখনো পরিবর্তন হয় না।
প্রকারভেদঃ
ব্লাড গ্রুপ (Blood Group) সাধারণত ৪ প্রকারের হয়ে থাকে-
Type A
Type B
Type AB
Type O
ব্লাড গ্রুপ টেস্ট বিভিন্ন মেথডে করা।সাধারণত ABO ও Rh মেথডে করা হয়।এছাড়াও Kell,Duffy,Lewis ইত্যাদি মেথডে করা।
ব্লাড ব্যাংক গুলোর ব্লাড গ্রপিং টেস্ট ভুল হবার সম্ভাবনা কম কারণ তারা কনফিউজড হলে বিশেষ মেথডে টেস্ট করে যাকে বলে “Reverse Method”
পৃথিবীর সবচেয়ে রেয়ার ব্লাড গ্রুপ হলো “Rhnull” গ্রুপ।পুরো দুনিয়ায় ৫০ জনেরও কমব্যক্তি এ রক্তের গ্রুপ বহন করে।অনেক একে “Golden Blood” বলে।
বাংলাদেশে “বোম্বে ” নামক রক্তের গ্রুপের ৪ জন মানুষ ছিল।বর্তমানে তারা ভারতে,সেখানেও এই গ্রুপের ১০-১২ জন আছেন।
রক্তের গ্রুপ (Blood Group) জানা কেন দরকারঃ
# রোগীর শরীরে রক্তের দরকার হলে যদি ভুল রক্ত ট্রান্সফিউশন করা হয়।তাতে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
# মায়ের রক্ত যদি নেগেটিভ হয় আর বাবার রক্ত পজিটিভ হয়,তবে সেক্ষেত্রে বাচ্চার রক্তেরগ্রুপ নেগেটিভ হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।এতে বাচ্ছা শরীরে এক ধরনের এন্টিবডি গ্রো করে যাতে বাচ্চার শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়।
এটি এড়ানোর জন্য মায়ের শরীরে একটি ইঞ্জেকশন দেয়া হয়।
প্রস্তুতিঃ ব্লাড গ্রুপ টেস্ট করার জন্য কোন ধরনের প্রস্তুতির দরকার হয় নাই।
মজার তথ্যঃ
# সাধারণত “ও-পজিটিভ” গ্রুপের মানুষ বেশী দীর্ঘায়ু পান।
# মশা “ও” পজিটিভ রক্তের মানুষকে বেশী কামড়ায়।