বাংলাদেশে দিন দিন হৃদরোগী বাড়ছে।বিশেষ করে,চট্টগ্রামের মানুষের হৃদরোগের প্রবণতা বেশী।লাইফ স্টাইল এক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রাখে।বিপদ আসার আগেই সচেতন হওয়া উচিত তাই আসুন আজকে হৃদরোগের টেস্ট গুলো সম্পর্কে জেনে নিই।হার্ট বা হৃদরোগের জন্য অনেক ধরনের টেস্ট করা হয়।৷ অধিকাংশ টেস্ট ব্যথাহীন ও ঝামেলামুক্ত।
এসব টেস্টের মাধ্যমে একজন ডাক্তার রোগীর বিভিন্ন ফ্যাক্টর চেক করেন।যেমনঃ
# হৃদপিণ্ডে কোন অবাঞ্চিত লক্ষণ আছে কিনা
# হার্ট ইলেকট্রিকাল সিস্টেম
# পেসমেকার বা অন্য কোন ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস
# রোগীর হৃদপিন্ডের সহ্য ক্ষমতা(ব্যায়াম)
# হৃদপিণ্ডের ভালব গুলো কাজ করছে কিনা
# হৃদপিণ্ডের আকারে পরিবর্তন আসছে কিনা
হৃদরোগের টেস্ট গুলোকে আমরা মূলত ২ ভাবে ভাগ করতে পারিঃ
১) ব্লাড টেস্ট
২) ইমেজিং টেস্ট
ব্লাড টেস্টঃ
# স্ক্রিনিং টেস্ট
১) ক্রিয়েটিনিন কাইনেজ
২) লিপিড প্রোফাইল
৩) সিআরপি
৪) সিবিসি
৫) ইলেক্ট্রোলাইট
৬) সিএমপি
হার্ট ড্যামেজ ও এট্যাকের ক্ষেত্রেঃ
১)ট্রপোনিন আই
২) সিকে-এমবি
৩)বিএনপি/এনটি-প্রোবিএনপি
৪) পেরিকার্ডিয়াল ফ্লুইড এনালাইসিস / Pericardial Fluid Analysis
৫) ব্লাড কালচার
৬) ব্লাড গ্যাস এনালাইসিস
# ইমেজিং টেস্ট
১) ইসিজি
২)ইকো
৩) এনজিওগ্রাম
৪) কার্ডিয়াক সিটি স্ক্যান
৫) কার্ডিয়াক এম আর আই
৬) ইটিটি
৭) কার্ডিয়াক ব্লাড পুল স্ক্যান
৮) কার্ডিয়াক পারফিউশন স্ক্যান
৯) করোনারি ক্যালসিয়াম স্ক্যান
১০) কার্ডিয়াক ক্যাথেরাইজেশান
১১) এক্সরে
টেস্ট করার আগে প্রস্তুতিঃ
# টেস্ট করার ৩-৪ ঘন্টা আগে ভারী কিছু খাবেন না।
# ধূমপান ও মদ একেবারে খাবেন না
# হৃদরোগের জন্য আগে থেকে কোন ঔষধ খেলে সে ব্যাপারে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিবেন।
# হেঁটে এসে বা শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করে এসে টেস্ট করাবেন না।
# এনজিওগ্রাম করার আগে অবশ্যই ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে নিয়ে আসতে হবে।
# ইসিজি রিপোর্ট দেখেই হৃদরোগ হয়েছে ভাববেন না,এটাই প্রায়ই ভুল আসে।
একজন সুস্থ মানুষেরও নিয়মিত হৃদপিণ্ডের জন্য টেস্ট করা উচিত।এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।