The specific reasons for the doctor to test
আমরা যখন শারীরিক সমস্যার কারণে ডাক্তারের তখন আমাদের বিভিন্ন টেস্ট করতে দেন।আমরা মনে করি এসব অযথা,অপ্রয়োজনীয়। আসলে যা সঠিক নয়।শরীরের অনেকগুলো রোগের উপসর্গ একই,সামান্য কিছু পার্থক্য থাকে।যার কারণে ডাক্তার সামান্যতম অমনোযোগী হলে রোগীর জীবন সংকটে পড়ে যায়।
আসুন,জেনে নিই কারণগুলো:
১) আমাদের শরীর বিভিন্ন ধরনের অর্গান বা অঙ্গ দিয়ে গঠিত।সব অঙ্গ ঠিকমত কাজ করছে কিনা, সঠিক পরিমাণে হরমোন,এনজাইম রিলিজ করছে কিনা জানতে টেস্ট করতে হয়।
২) আপনার শরীরে কোন “ফরেন বডি” র উপস্থিতি জানার জন্য টেস্ট করতে হয়।
৩)আপনার শরীরের জন্য কোন ঔষধটি ঠিকমত কাজ করবে, তা জানার জন্য টেস্ট করতে হয়।
৪) প্রেসক্রাইবকৃত ঔষধ আপনার শরীরের জন্য সেনসিটিভ বা রিঅ্যাক্ট করবে কিনা তা জানার জন্য টেস্ট করতে হয়।
৫) ট্রীটমেন্ট পরবর্তী আপনার শরীরের অবস্থা জানার জন্য টেস্ট করতে হয়।
ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত
৬) অপারেশন করার আগে বা কেমোথেরাপি দেয়ার আগে রোগীর শরীর ধকল সহ্য করতে পারবে তা জানার জন্য টেস্ট করতে হয়।
৭) “Prevention is better than cure” সকল রোগীর ক্ষেত্রে এটাকে ভিত্তি ধরে ডাক্তার চিকিৎসা শুরু করেন যেমন: আপনার কাশি হলো আপনি ভাবলেন এটা ঠান্ডা বা ফ্লু কিন্তুু এটা “মেটাস্টাটিক লাং ক্যানসার” একটা সাইন হতে পারে।
আপনাকে “এন্ডোস্কপি” করতে বললো যদিও ডাক্তার ৯৯% শিউর আপনার “কোলন ক্যানসার” হয়নি,তারপরেও কোন রিস্ক নিতে চান না।
৮) আপনার টেস্ট রেজাল্ট গুলো ক্রস চেক করার জন্য।যেমন: যক্ষার ক্ষেত্রে “‘কফ টেস্ট” দেয়,সাথে আবার ” এক্স-রে চেস্ট” দেয়।২টাই আপনার রোগের ব্যাপারে ১০০% নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
৯) আপনি গত সপ্তাহে টেস্ট করালেন আজকে ডাক্তার দেখালেন আবারও একই টেস্ট দিল সমস্যা কি?
আমাদের শরীরে মেটাবলিক সিস্টেম প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়,হচ্ছে।যার কারণে আবারও ডাক্তারকে টেস্ট দিতে হয়।
তবে ডাক্তার নির্দেশিত ডায়াগনস্টিক সেন্টার আপনার ভালো মনে না হলে, সেখানে টেস্ট করাবেন না।আপনি বাধ্য নন।প্রয়োজন বোধে আইনের আশ্রয় নিন।