ভ্যাক্সিনঃনিউ পেরেন্টসদের যা যা জানা উচিত

ভ্যাক্সিনঃনিউ পেরেন্টসদের যা যা জানা উচিত

ভ্যাক্সিন বর্তমানে অত্যন্ত পরিচিত ও আকাঙ্খিত শব্দ।”কভিড-১৯” আমাদের মূলত ভ্যাক্সিনের মূল্য বুঝিয়েছে যদিও আমরা সেই ছোটকাল থেকেই ভ্যাক্সিন নিচ্ছি।আমাদের দেশে বাচ্ছাদের বিভিন্ন মারাত্মক সংক্রমণ রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য বাধ্যতামূলক ভাবে EPI টিকা দেয়া হয় কিন্তু অনেক অভিভাবক জানেন না,কখন কোন ভ্যাক্সিন দিতে হয়,ভ্যাক্সিন দিতে কি কি ভুল হতে পারে।আজ আমরা আলোচনা করবো “EPI-expanded programme on immunization ”

০ থেকে ১৫ মাস বয়সী শিশুদের টিকা দান শিডিউলঃ

# রোগের নাম – যক্ষা 

ভ্যাক্সিন এর নাম- বিসিজি

ডোজের পরিমাণ-০.৫ এম এল

ডোজের সংখ্যা – ১ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ জন্মের পর থেকে

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- বাম বাহুর উপরের অংশে

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- চামড়ার মধ্যে

# রোগের নাম – ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুষ্টংকার, হেপাটাইটিস-বি, হিমোফিলাস-বি ইনফ্লুয়েঞ্জা

ভ্যাক্সিন এর নাম – পেন্টাভেলেন্ট

ডোজের পরিমাণ-০.৫ এম এল

ডোজের সংখ্যা – ৩ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ জন্মের ৬ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ঃ ৪ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- উরুর মধ্যভাগে বাইরের অংশে (১ম টা ডান উরু,২য় টা বাম ঊরু,৩য় টা ডান উরু)

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- মাংসপেশী

# রোগের নাম – নিউমোনিয়া

ভ্যাক্সিন এর নাম – পিসিভি

ডোজের পরিমাণ-০.৫ এম এল

ডোজের সংখ্যা – ৩ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ জন্মের ৬ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ঃ ৪ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- উরুর মধ্যভাগে বাইরের অংশে (১ম টা বাম উরু,২য় টা ডান ঊরু,৩য় টা বাম উরু)

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- মাংসপেশী

# রোগের নাম – পোলিও

ভ্যক্সিন এর নাম – ওপিভি

ডোজের পরিমাণ- ২ ফোটা

ডোজের সংখ্যা – ৪ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ জন্মের ৬ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ঃ ৪ সপ্তাহ

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- মুখে

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- মুখে

# রোগের নাম – হাম ও রুবেলা

ভ্যাক্সিন এর নাম – এমআর

ডোজের পরিমাণ- ০.৫ এমএল

ডোজের সংখ্যা – ১ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ ৯ মাস হলে

ভ্যাক্সিন দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ঃ

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- উরুর মধ্যভাগের বাহির অংশে (ডান উরু)

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- চামড়ার নিচে

# রোগের নাম – হাম

ভ্যাক্সিন এর নাম – হাম

ডোজের পরিমাণ- ০.৫ এমএল

ডোজের সংখ্যা – ১ টি

ভ্যাক্সিন শুরুর সময়ঃ ১৫ মাস হলে

ভ্যাক্সিন দেয়ার মধ্যবর্তী সময়ঃ

ভ্যাক্সিন দেয়ার স্থান- উরুর মধ্যভাগের বাহির অংশে (বাম উরু)

ভ্যাক্সিন দেয়ার নিয়ম- চামড়ার নিচে

সর্তকতাঃ

# সর্বনিম্ন বিরতির আগে ডোজ নিলে তা কাজ করবে না এবং তা বাতিল হয়ে যাবে।

# পোলিও, পেন্টালেন্ট, পিসিভি ও টিটি ভ্যাক্সিন ডোজের বিরতির কোনো সর্বোচ্চ সীমা নেই। দু’টি ডোজের মধ্যে সময় যদি ১২ মাসের ও বেশি হয় তবুও আবার প্রথম থেকে টিকা দেয়া শুরু করা যাবে না। নূন্যতম বিরতি পর হলেই পরবর্তি ডোজ টিকা দিতে হবে।

# ভ্যাক্সিন দেয়ার পর অনেক শিশুর জ্বর হতে পারে,ভয় পাওয়ার কিছু নেই।ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

# কোনো ভ্যাক্সিন ডোজ অনুমান করে বা নিশ্চিত না হয়ে দেয়া যাবে না।

ভ্যাক্সিনঃনিউ পেরেন্টসদের যা যা জানা উচিত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to top