ব্লাইটেড ওভাম ( blighted ovum/anembryonic pregnancy/ empty sac) প্রেগনেন্সিতে একটি পরিচিত সমস্যা। এটি এক ধরনের এবরশন। ভ্রূণের ক্রোমোজোমাল আ্যবনরমালিটিকে এর প্রধান কারণ মনে করা হয়, যার ফলে ভ্রুণ টি/embryo প্রথম থেকেই নষ্ট হয়ে যায় এবং ডেভলপ/develop করে না। তা সত্বেও রোগীর প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হয় এবং প্রেগনেন্সির অন্যান্য লক্ষণ গুলো দেখা যায়।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ স্ত্রী ও প্রসূতীরোগ বিশেষজ্ঞ
সাধারণত রোগীর কোন সমস্যা না থাকলেও অনেক সময় সামান্য ব্লিডিং হতে পারে এবং রুটিন আল্ট্রাসনোগ্রাম করে এই সমস্যাটি ধরা পড়ে। এই গর্ভবতী মায়ের এক মাস আগে মাসিক বন্ধ হয় এবং প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ আসে। এরপর পিভি(per-vaginal) ব্লিডিং-এর সমস্যা হতেই আল্ট্রাসনো করে দেখা যায় শুধু প্রেগনেন্সির ঘরটি(gestational sac) আছে, কোন এমব্রায়ো নাই। 14 দিন পরে আরেকটি আলট্রাসনো করে একি ফাইন্ডিংস আসে এবং ব্লাইটেড ওভাম কনফার্ম হয়।
তবে অনেক ক্ষেত্রে এর ডায়াগনোসিসে কনফিউশন দেখা দেয়। RCOG এর গাইডলাইন অনুযায়ী gestational sac 2.5 cm এর বেশি হলে এবং এর মধ্যে যদি কোন এমব্রায়ো না থাকে তবে 7 থেকে 14 দিন পরে আরেকটি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে ডায়াগনোসিস কনফার্ম করতে হয়। কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় আলট্রাসনোলজিসট কনফিডেন্ট না হলে ক্লিয়ার কাট কোন ডায়াগনোসিস না দিয়ে বারবার ফলো আপ আল্ট্রাসনোগ্রাম এর কথা লিখে দেয়। এক্ষেত্রে রোগীদেরকে ডায়াগনোসিস বোঝানো ঝামেলা হয়ে যায়। আবার অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের প্রোজেস্টেরন ঔষধ (যেমন মাইক্রোজেস্ট) এবং ইনজেকশন নিতে থাকেন। এতে করে ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যায়- ফলাফল ডায়াগনোসিস দেরিতে হয়। যদিও এই ধরনের ট্রিটমেন্ট blighted ovum/ empty set এর চিকিৎসায় সময় এবং অর্থের অপচয় ছাড়া কোন পজিটিভ রেজাল্ট আনে না।
ডা:নুসরাত জাহান
আ্যসোসিয়েট কনসালটেন্ট ( গাইনি)
ইম্পেরিয়াল হসপিটাল,চট্টগ্রাম