অসচেতনতা কিংবা না জানার কারণে বেশীরভাগ চুলপড়া ও টাকের রোগী মনে করেন এই রোগের কার্যকরী কোন চিকিৎসা নেই।ফলে সিংহভাগ রোগীই প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা না নিয়ে শেষ পর্যায়ে এসে কোন চিকিৎসায় ভালো ফল পান না।
বর্তমানে টাক ও চুল পড়া রোধে ৪ ধরনের চিকিৎসা প্রচলিতঃ
১) ঔষধ ও ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা
২) PRP (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা) থেরাপি ও লেজার লাইট থেরাপি
৩) চুল প্রতিস্থাপন
এটি জটিল ও সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ বলে এদেশে জনপ্রিয়তা না পেলেও মূলত এটিই হচ্ছে টাকের স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি।
সুতরাং সবদিক বিবেচনায় ঔষধ ও ইনজেকশনের পাচাপাশি পি আর পি (PRP Therapy) থেরাপি হচ্ছে বতমান বিশ্বে প্রচলিত সুলভ মূল্যের কার্যকরী আধুনিক চিকিৎসার মধ্যে অন্যতম,যা ইদানিং আমাদের দেশেও প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
পি আর পি কি ?
রক্তের অণুচক্রিকা,বিভিন্ন প্রোটিন ও এনজাইমকে একত্রে পিআরপি বলে।এতে বিভিন্ন ধরনের গ্রোথ ফ্যাক্টর রয়েছে যা চুলের সার হিসেবেনকাজনকরে।যেমনটি জমির উর্বরতা বাড়াতে এবং দূর্বল রুগ্ন গাছকে সবল করতে সার ব্যবহৃত হয়।
পিআরপি কিভাবে সংগ্রহ করা হয় ?
রোগীর রক্ত সংগ্রহ করে মেশিনের সাহায্যে আলাদা করে প্লাটিলেট (অনুচক্রিকা) সংগ্রহ করা হয়,যা প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা বা পি আর পি নামে পরিচিত।এটি মাথার চামড়ায় বিশেষ ধরনের মাইক্রোনিডেল (ডার্মারোলার/ডার্মাপেন) এবং চিকন ইনসুলিন সুই দিয়ে ইনজেকশান হিসেবে দেয়া হয়।
কতটুকু নিরাপদ এবং কেন দেয়া হয় ?
# পিআরপি রোগীর নিজ রক্ত থেকে সংগ্রহ করা হয় বলে এটি শতভাগ নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত।
# চুল পড়া বন্ধ করে, চুলের বৃদ্ধি ও মোটা হতে সাহায্য করে।
# প্রাথমিক পর্যায়ে ৪০ বছরের কম বয়সী রোগী ৩-৪ সপ্তাহে অন্তর ৬-১০ বার, এই থেরাপি নিলে ৫০-৮০ ভাগ চুল গজানোর সম্ভাবনা আছে।
ডাঃ মোহাম্মদ এহসান
এমবিবিএস (ঢাকা), ডিডি (থাইল্যান্ড-জাপান)
ডিপিডি (লন্ডন), স্কিন এন্ড লেজার সার্জারী (ব্যাংকক)
এবিএলএস (আমেরিকা)
চর্ম,যৌন,এলার্জি রোগ বিশেষজ্ঞ ও কসমেটিক সার্জন
ডেলটা হেলথ কেয়ার,চিটাগাং লিঃ
সিরিয়াল: ০১৮৪১-৯০৬০৯০,০১৮৪১-৯০৬০৩০,
Source: www.deltahcctg.com