এটি একটি হাইলি সেনসিটিভ মাইক্রোবায়োলজিক্যাল ডায়াগনস্টিক টেস্ট।রোগীর জীবন রক্ষায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন কোন এন্টিবায়োটিক রোগীর উপর কাজ করে না,তখন শেষ উপায় হিসেবে এই টেস্ট করা হয়।
আমরা অনেকেই মনমত এন্টিবায়োটিক খাই অথবা ফার্মেসী দোকানের কথামত খাই।যার ফলে এই ঔষধ গুলো এক সময় গিয়ে আর রোগীর শরীরের উপরে কাজ করে না।তখন রোগীকে বাঁচানোর উপায় একটাই কালচার এন্ড সেনসিটিভিটি টেস্ট।
টেস্ট কিভাবে করা হয়ঃ
এই টেস্টের মাধ্যামে একটি কালচার মিডিয়ায় ঐ রোগীর স্যাম্পল নিয়ে জীবাণুর চাষ করা হয়।যখন জীবাণু জন্মলাভ করে তখন ঐখান থেকে স্পেসিমেন নিয়ে আবার বিভিন্ন ধরনের স্টেইন করা হয় এবং নিশ্চিত করা হয় এটি কোন প্রকারের জীবাণু।তারপর আরেকটি কালচার মিডিয়ায় আবার জীবাণু চাষ করা হয়।
যখন জীবাণু জন্মলাভ করে তখন ঐ কালচার প্লেটে নির্দিষ্ট দূরত্বে বিভিন্ন এন্টিবায়োটিক ঔষধ রাখা হয়।এবং অপেক্ষা করা হয়।নির্দিষ্ট সময় পর দেখা যায় যে ঔষধ সেনসিটিভ বা ঐ ঔষুধে রোগীর উপর কাজ হবে তার চারপাশে একটি পরিষ্কার স্থান তৈরী হবে।সাধারণত বিভিন্ন স্যাম্পলের উপর কালচার ও সেনসিটিভিটি টেস্ট করা হয় যেমন: রক্ত,প্রস্রাব,কফ,পুজ,এবডোমিনাল ফ্লুইড ইত্যাদি।
রিপোর্ট :
সাধারণত রেজাল্ট পেতে ২৪-৭২ ঘন্টা লাগে।অনেক সময় আরে বেশী লাগে।
কফ ও ফাঙ্গাস এর ক্ষেত্রে ৬-৮ সপ্তাহ লাগে।
ডাক্তার দেখানোর আগে যে কাজ গুলো করা উচিত
কখন এই টেস্ট করতে হয়:
# যখন মেডিসিন নিয়মিত নেয়ার পরেও ঐ ঔষধে রোগীর উন্নতি হয় না।
# যখন অপারেশনের জায়গা সময়মত শুকায় না
# বিভিন্ন রক্তদূষণ রোগে
# “ড্রাগ রেসিসটেন্ট টিবি” হলে
এটি খুবই সেনসিটিভ টেস্ট তাই যেনতেন ল্যাবে এই টেস্ট করানো মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।ভালো মানের ল্যাব না হলে রিপোর্ট ভুল আাসার সম্ভাবনা বেশী।
চট্টগ্রামে ২-৩ টি ল্যাবে মানসম্মত ভাবে এই টেস্ট হয়।