পুরো দেশ ১৯৭১ সালে যুদ্ধে যতটা না বিধ্বস্ত হয়েছিলো, এক করোনায় তারচেয়ে বেশী অসহায় হয়ে পড়ছে।বালিতে মুখ লুকিয়ে চলমান ঝড়কে অস্বীকার করা যাবে না,এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।ঔষধ কিংবা ভ্যাকসিন না পাওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাস নিয়ে চলতে হবে।থেমে থাকবে না জীবন, থেমে থাকবে না অন্য রোগের সংক্রমণ।বাড়ছে জীবনে শংকা,সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জীবিকা সংকট।এই ২ এর সাথে ব্যালেন্স করে জীবন চালাতে হবে আপাতত।
এখন অর্থের দিক থেকে সবাই এখন চাপের মুখে আছে,সাথে করোনা সংক্রমণের ভয়ও কাজ করছে।চিকিৎসা ব্যয় মড়ার উপর খাড়ার মত।চিকিৎসা ব্যয় সংকোচনে আমরা চেষ্টা করতে পারিঃ
# আমাদের খোঁজ রাখা উচিত কোন কোন হাসপাতালে করোনা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে।
# কোথায় কোথায় আইসলেশন এর ব্যবস্থা আছে।
# কোথায় কোথায় করোনা পরীক্ষার জন্য “বুথ” বসেছে।এটাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ কারণ যে টেকনোলজিস্ট স্যাম্পল কালেকশন করছে উনিও ইনফেকটেড বা ক্যারিয়ার হতে পারেন।
# সন্দেহ হলেই,নিজেকে করোনা রোগী ভেবে বসবেন না।অপেক্ষা করুন।আপনার করোনা নিশ্চিত হলেও চিকিৎসা পাবেন তা নিশ্চিত নয়।
# করোনা আক্রান্ত ৮০% রোগী ঘরেই সুস্থ হচ্ছে তাই টেস্ট করতে গিয়ে নিজের অবস্থা আরো জটিল করবেন না।
# সন্দেহ হলেই,আলাদা রুমে আইসুলেট থাকুন। না পারলে মাস্ক পড়ে থাকুন।
# নিজের থেকেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না।
# গর্ভবতী রোগীর জন্য নিয়মিত কনসালটেন্ট এর সাথে যোগাযোগ রাখুন।
যারা একটু টাকার চিন্তা করছেন উনারা চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল, সিটি কর্পোরেশন মেমন হাসপাতাল,আন্দরকিল্লা রেডক্রিসেন্ট হাসপাতাল এগুলো কথা মাথায় রাখতে পারেন।
# মেয়েলি অসুখে জন্য “মেরি স্টোপস” ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে পারেন।
# শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে কমিউনিটি ক্লিনিক আছে,সাশ্রয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
# স্বল্প খরচে চিকিৎসার জন্য ফিজিওথেরাপির রোগীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এ কে খান সিআরপি, কালুরঘাটে যেতে পারেন।
# যাদের রোগীর জন্য ব্লাড দরকার তারা সন্ধানী ও আন্দরকিল্লা রেড ক্রিসেন্টে কম খরচের জন্য যেতে পারেন।
# শিশুদের সমস্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল ত আছেই,সাথে অন্যান্য বেসরকারী ক্লিনিকও খোলা আছে।
# চট্টগ্রাম শহরে টেস্ট করার জন্য অনুমতি পেয়েছে “শেভরণ” ও ” ইমপেরিয়াল হাসপাতাল”। তবে তাদের কার্যক্রম এখনো শুরু করেনি।তাই সরকারী হাসপাতালেই ভরসা রাখুন।অতিরিক্ত টাকা বা ঘুষ দিয়ে বাসায় স্যাম্পল কালকেশন করানোর চেষ্টা করবেন না।এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা বেশী।
#স্বল্প খরচের চিকিৎসার জন্য আরো যেতে পারেন “ফাদার ব্রুদ্রেস মেডিকেল সেন্টার” ও মোমিন রোড মৈত্রী হিন্দু ফাউন্ডেশনে যেতে পারেন।
# স্বল্প খরচে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আগ্রাবাদ আমেরিকান হাসপাতাল যেতে পারেন।
# ডায়াবেটিস রোগীরা ডায়াবেটিক হসপিটালের সহযোগীতা নিতে পারেন।
# অর্থোপেডিক রোগীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া উপায় নাই।
# কিডনী রোগীরা স্বল্প খরচে ডায়ালাইসিসের জন্য কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল যেতে পারেন
# চট্টগ্রাম নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টারে স্বল্প মূল্যে ভালো মানের টেস্ট করতে পারবেন।
# ঘরের বাইরে গেলে স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।ঘরে শুধু মাত্র সাবান ব্যবহার করুন।
# যদি সম্ভব হয় ঘরে অক্সিজেন সিলিন্ডার জোগাড় করে রাখুন,সাথে অক্সিমিটার সহ।
# খুব বেশী প্রয়োজনীয় না হলে ল্যাবে অন্য টেস্ট করার ব্যাপারে সর্তক হোন।