A Leading Doctor Chamber information Site In Chittagong

kk
4
22
a5
a3
2
5
dr3 (1)
যে ১০ টি নিয়মে চললে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে বাঁচতে পারে

বিশৃঙ্খল জীবনযাপন,অধিক বয়সে বিয়ে,অতিরিক্ত ওজন,শরীরে মাত্রাতিরিক্ত কোলেস্টেরল, অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া ও স্ট্রেস সন্তান জন্মদানে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সন্তান না হলে আমাদের সমাজে অধিকাংশ সময় নারীকে দায়ী করা হয় কিন্তু সত্যিটা একটু ভিন্ন।

বন্ধ্যাত্ব নারী ও পুরুষ উভয়ের হতে পারে।স্বাস্থ্য পরিসংখ্যান অনুযায়ী,৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বন্ধ্যাত্বের জন্য পুরুষ দায়ী।বর্তমান সময়ে এ হার বেড়েই চলেছে।বিশেষজ্ঞদের চিকিৎসক দের মতে, সুশৃঙ্খল ভাবে জীবনযাপন অনেকাংশে এ সমস্যা কমিয়ে আনবে।

বিশেষজ্ঞরা যে ১০ টি নিয়ম মেনে চলার উপর জোর দিয়েছেনঃ

১) ওজন নিয়ন্ত্রণ

মাত্রাতিরিক্ত ওজন বন্ধ্যাত্বের একটি বড় কারণ।বেশী বা কম ওজন সন্তান ধারণের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াতে পারে।তাই উচ্চতা ও বয়স অনুযায়ী ওজনকে নিয়ন্ত্রণ করুন।

২) খাদ্যাবাস

ভুল খাদ্যাবাস বন্ধ্যাত্বের অন্যতম কারণ।ঠিকসময়ে না খাওয়া,পুষ্টিকর খাবারের বদলে জাংকফুড খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে বন্ধ্যাত্ব দেখা দিতে পারে।তাই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধ করতে বিভিন্ন মৌসুমী ফল,আমন্ড,শাকসবজি,কুমড়োর বীজ,ডার্ক চকলেট,আমলকি,রসুন,মধু,ব্রকলি,চেরি,বিট,গাজর,দুধ,দই ও ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ খাবার খান।তেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।

৩) চাপমুক্ত

মানসিক চাপ বন্ধ্যাত্বের৷ ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা। বর্তমানে এটি মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে ক্ষেত্রে নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন।মনকে ভালো রাখতে নিজের পছন্দের কাজ গুলো করুন।নিজেকে সময় দিন।সবাইকে ক্ষমা করুন।

৪) শরীরচর্চা

শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য শরীরচর্চা প্রয়োজন,তা নয়।ব্যায়াম শরীরের পুরুষ হরমোনগুলোর অতিরিক্ত ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করবে।তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।

৫) পর্যাপ্ত ঘুম

ঘুম শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ৮ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন।ঘুমের অভাবে শরীরে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়।এটি বিভিন্ন হরমোনে সমস্যা যার কারণে বন্ধাত্ব্য দেখা দেয়।

৬) লাইফস্টাইল

ধূমপান,মদপান,মাদকদ্রব্য সেবন, কোন কোন রক্তচাপের ঔষধ যেমন-নিফিডিপিন শুক্রাণুর ডিম্বাণু নিষিক্তকরণ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়।রোগীকে বন্ধা করে দেয়।পকেটে সবসময় মোবাইল রাখা অনুচিত।তাছাড়া ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় কোলের উপর রাখা উচিত নয়।

৭) স্বাভাবিক পরিবেশ

অতিরিক্ত গরম পরিবেশে কাজ করা,গরম পানিতে গোসল করা অথবা নাইলনের তৈরী অন্ত র্বাসের ব্যবহার শুক্রাণু তৈরীর প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে কারণ শুক্রাণু তৈরীর উপযুক্ত তাপমাত্রা এতে বজায় থাকে না।ঢিলেঢালা কাপড় পড়াই উত্তম।

৮) এন্টি-অক্সিডেন্টের অভাব পূরণ

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় এন্টি-অক্সিডেন্টের অভাব হলে পুরুষ তার প্রজনন ক্ষমতা হারাতে পারে।যে কোন মৌসুমি ফল বা সবজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে এন্টি – এক্সিডেন্ট পেয়ারা,আপেল,আম,তরমুজ,ঢেড়স,কুমড়া ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে।

৯) ভাজা পোড়া এড়িয়ে চলা

নিয়মিত ভাজাপড়া খাওয়ারে অভ্যস্ত হলে পুরুষের বন্ধ্যাত্ব সমস্যা হতে পারে।ক্যামিকেল দেয়া খাবার ও ফার্মের মুরগীও সন্তান জন্মদানে সমস্যা করতে পারে।

১০) ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার খাওয়া

ভিটামিন-ই অভাবে নারী ও পুরুষ,উভয়ের বন্ধ্যাত্ব তৈরী করে।তাই বন্ধ্যাত্ব প্রতিরোধে ভিটামিন-ই খাওয়া জরুরি।দই বা ইস্ট জাতীয় খাবারে রয়েছে ভিটামিন-ই।ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী, ভিটামিন-ই ঔষধও খেতে পারেন।

যে ১০ টি নিয়মে চললে পুরুষ বন্ধ্যাত্ব সমস্যা থেকে বাঁচতে পারে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *