সারা দুনিয়া এখন “করোনা ভাইরাস” এ আক্রমণে কাহিল।উন্নত দেশ গুলো ও তাদের সচেতন জনগণ নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে এর সংক্রমণ ঠেকানোর আর আমাদের কোন চিন্তাও নেই।আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপারটাকে ট্রলে রূপান্তরিত করেছি।সরকার স্কুল-কলেজ বন্ধ দিয়েছে আর আমরা ভ্রমণে ব্যস্ত,শপিং এ ব্যস্ত।
কল্পনাও করতে পারবেন না নিজের কি ক্ষতি করছেন।নিজের পরিবারের জন্য কি অভিশাপ বয়ে আনছেন।উন্নত দেশ গুলো মেডিকেল কিট,ডাক্তার,নার্স, পিপিই ড্রেস সাপ্লাই দিতে পারছে না।হাসপাতেলে বেড সংকট।রোগিকে রোগীর বাসায় রেখে ট্রীট্মেন্ট দিচ্ছে।
শুধুমাত্র হাজারখানেক লোক আক্রান্ত হলে পুরো চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংকট হয়ে যাবে।চট্টগ্রামে এত আইসিইউ বেড ম্যানেজ করা ডাক্তারদের পক্ষে সম্ভব হবে না।
তাহলে কিসের গারান্টিতে শার্টের বোতাম খুলে দিয়ে ঘুরছেন ?????
সরকারী হাসপাতালে এত বেড নাই আর এরকম রোগীর সেবা দেওয়ার জন্য রাতারাতি ফ্যাসিলিটি তৈরী করাও সম্ভব নয়।চট্টগ্রামে এত ম্যানপাওয়ার নাই???
ডাক্তারকে,সরকারকে দোষ দিবেন,গালি দিবেন কিন্তু উনারা সাধ্যের বাইরে কি করবেন?
আপনার অবাধ্য চলাফেরার জন্য কে দায়ী ????
নিজেকে বাঁচান,নিজের পরিবারকে বাঁচান।
তাহলে কি করবেন?????
# সচেতন হোন।সচেতনতা ছড়িয়ে দিন।
# নিয়ম মানুন।অপরকে মানতে বাধ্য করুন।রোগ এলে কাউকে ছাড়বে না।
# করোনা ভাইরাসের লক্ষণ গুলো জানুন।
১) জ্বর থাকবে
২) কাশি থাকবে
৩) শ্বাসকষ্ট থাকবে( এটাই প্রধান লক্ষণ)
# মাস্ক পরিধান করুন।নিজের মাস্ক নিজে ব্যবহার করুন।
# হাত মেলানো একদম বন্ধ করে দিন।
# যেখানে সেখানে কফ, থু থু ফেলবেন না।আমাদের এটা আমাদের বড় বদঅভ্যাস।করোনা ভাইরাস এসব ড্রপলেট বস্তু থেকে বেশী ছড়ায়।
# হাসপাতাল থেকে এলে তাড়াতাড়ি গোসল নেয়ার চেষ্টা করুন।ভালো হয় কাপড় বাইরে ছেড়ে এলে।
# এই সময়ে অকারণে রোগী দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমাবেন না।
# হাসপাতালের সাথে জড়িত সবাই মানুষ।প্যানিক হয়ে তাদের কাজে বিরক্ত করবেন না।তাদের মৃত্যু ঝুকি সবার চাইতে বেশী।তাদের সাথে সহযোগীতা করুন।
# সঠিক নিয়মে হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন। না জানলে গুগল করুন।
# নাকে-মুখে হাত দিবেন না।
# বাচ্চাদের ঘরে থাকতে বাধ্য করুন।
# অযথা কোথাও আড্ডা দিবেন না।
# পর্যটন স্পট,শপিং কমপ্লেক্স এড়িয়ে চলুন।
# স্যানিটাইজার যে কাজ করে,সাবানও একই কাজ করে।তাই অযথা স্টক করে দাম বাড়াবেন না।
# মাস্ক ফেলে দেয়ার সময়, কেটে দিয়ে ফেলুন।অথবা ছিদ্র করে দিন।
# প্রবাসী কেউ ঘরে এলে বা মহল্লায় এলে বা বিল্ডিং এ এলে তাকে বুঝিয়ে “সেলফ কোয়ারেন্টেইনে” থাকার জন্য বলুন।না হলে বাধ্য করুন।পুলিশের সাহায্য নিন।
# লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমে ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলুন।এরপর কি করতে হবে নির্দেশনা নিন।সরাসরি হাসপাতাল যাবেন না।
# সামনে ডেঙ্গু সিজন তাই অতিরিক্ত সর্তক থাকুন।
# পরিবারের বয়স্কদের একটু বেশী যত্ন নিন।
# ধূমপায়ীদের ফুসফুস দূবল হয়ে থাকে তাই আপনি ধূমপায়ী হলে সর্তক থাকুন।
# চায়ের দোকান গুলোতে অকারণে খোশগল্প করবেন না।
# তথ্য লুকোবেন না।এটা অপরাধ।
# খাবার মজুদ করবেন না।প্রতিবেশীর খেয়াল রাখুন।আপনার বিপদে আগে এরাই আসবে।
# ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।মসজিদে বা মন্দিরে স্বল্প সময়ে প্রার্থনা শেষ করুন।
# মানুষের ভীড় এড়িয়ে চলুন।
# প্রচুর ভলান্টিয়ার লাগতে পারে।তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হোন।
# ধনী ব্যক্তিরা সরকারী হাসপাতালে বিভিন্ন হেলথ প্রটেক্টিভ জিনিস দিয়ে ডাক্তার ও এর সাথে জড়িত সবাইকে সাহস যোগাতে পারেন।
# একতাই শক্তি তাই অপরকে সাহায্য করুন।
হাসপাতাল দ্বারা ইনফেক্টেড হওয়া এড়াতে চাইলে, মেনে চলুন ১০ টি নিয়ম
করোনা রোগীর ট্রিটমেন্ট ৪ হাসপাতেলেঃ
# চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ,চকবাজার
# জেনারেল হাসপাতাল, আন্দরকিল্লা
# রেলওয়ে হাসপাতাল, সিআরবি
# বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতাল, ফৌজদারহাট
প্যানিক হবেন না। গুজবে কান দিবেন না। সচেতন হউন। সচেতনতাই আপনার আর আমার বাঁচার অস্ত্র।
আরো কিছু জানতে চাইলে, প্রয়োজনে আমাদের টেলিমেডিসিন ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলুন।
ডাঃ রফিকুল আলম ডাঃ শহীদুল ইসলাম
০১৮১৪-৯৮৭৯৭৫ ০১৮৯১-৬২২৬৪৫