এন্টিবায়োটিক, মানুষের জন্য একটি বড় আর্শীবাদ হয়ে এসেছে।একসময় বিভিন্ন রোগের প্রচুর মানুষ মারা যেত,যা এন্টিবায়োটিক আবিষ্কারের পর দূর হয়।সর্বপ্রথম এন্টিবায়োটিক ছিলো “পেনিসিলিন “।বর্তমানে রোগের চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার ব্যাপক।এর দ্বারা ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি রোধ ও একে ধংস করা হয়।
এন্টিবায়োটিক ভাইরাস ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে না। যেমন: সাধারণ সর্দি,ফ্লু,কফ,গলা ব্যথা ইত্যাদি।আমাদের দেশে ঔষধ কোম্পানি ও দোকানিরা ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে এন্টিবায়োটিক খেতে উৎসাহিত করে যা উচিত নয়।কারণ অনেক গুলো ব্যাকটেরিয়া শরীরে “ইমিউনিটি সিস্টেম ” দ্বারা ধংস হয়ে যায়।তাই ইনফেকশনের শুরুতে এন্টিবায়োটিক না নেয়া উচিত।এন্টিবায়োটিক খেতে হবে শুধু মাত্র রেজিস্ট্রাড ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী।
অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার সর্ম্পকে ১০ টি বিষয় জেনে রাখুন, নয়তো বিপদ!
এন্টিবায়োটিক কখন নেয়া যাবেঃ
# যখন একটা মেডিকেল পিরিয়ড শেস হবার পরেও রোগ ভালো না হলে
# যখন অন্যদের মাঝে রোগ সংক্রমণের আশংকা থাকে,তখন রোগের শুরুতেই ব্যবহার করা যাবে।
# যখন রোগ সারতে অনেকদিন লেগে যাবে এমন শংকা হয় যেমন: অপারেশনের জায়গায় ঘা,কাটা-ছেড়ার ইত্যাদি।
# যদি ইনফেকশন হবার গুরুতর হওয়ার শংকা থাকে
# অনেক সময় ইনফেকশন হয়নি বা রোগ ধরা পড়ছে না কিন্তু ডাক্তার লক্ষণ দেখে রোগ অনুমান করছেন।সেক্ষেত্রে রোগীকে অগ্রীম এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়,এটাকে “এন্টিবায়োটিক প্রপেলাক্সিস” বলে।
এন্টিবায়োটিক কিভাবে নেয়া যাবে:
# ওরাল এন্টিবায়োটিক – ট্যাবলেট,ক্যাপসুল,সিরাপ
# ইঞ্জেকশন এন্টিবায়োটিক – যা সরাসরি রক্তানালী,মাংশপেশীতে দেয়া হয়(যা সাধারণত ক্রিটিকাল রোগীকে দেয়া হয়)
# টপিক্যাল এন্টিবায়োটিক – ক্রিম,লোশন,স্প্রে, লিকুইড ড্রপ(যা সাধারণত স্কিন ইনফেকশনে দেয়া হয়)
## সবচেয়ে জরুরি বিষয়, এন্টিবায়োটিক নিলে কোর্স পূরণ করতে মানে৷ নির্দিষ্ট সময় ও নির্দিষ্ট পরিমাণ খেতে হবে।কারণ কোর্স যদি আপনি পূরণ না করেন তাহলে ভবিষ্যতে ঐ ঔষধ আপনার উপর কাজ করবে না।বর্তমানে প্রচুর মানুষের মৃত্যর কারণ হলো “এন্টিবায়োটিক রেসিস্টেন্স ” অথ্যাৎ ঔষধে কাজ না করা।
যদি এন্টিবায়োটিক এর ডোজ মিস করেন:
# যদি অল্প সময় পরে মনে পড়ে,তাহলে সাথে সাথেই খেয়ে নিন।
# যদি পরবর্তী ডোজ খাওয়ার সময় হয়ে যায়,তাহলে একসাথে ২ টি ডোজ খাবেন না।এতে রোগীর ক্ষতি হতে পারে।বাকী ডোজ গুলো কন্টিনিউ করুন এবং আপনার ডাক্তারকে জানান।
এন্টিবায়োটিক এর সাইড ইফেক্ট:
অধিকাংশ এন্টিবায়োটিক নিারপদ।তবে কিছু কিছু ঔষধের ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ইফেক্ট রয়েছে।রোগীর মধ্যে নিম্নের লক্ষণ গুলো দেখা যাবে:
# ঔষধ খাওয়ার পর সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যাবে।
# অসুস্থ মানুষ আরো বেশী অসুস্থ হয়ে যাবে।
# পেটে গ্যাস হবে
# ডায়রিয়া
# মুখের রুচি কমে যাবে।
# এলার্জিক রিয়াকশন দেখা দিবে
# কোষ্ঠকাঠিন্য হবে
# শরীর দূর্বল লাগা
# প্রস্রাবের রং পরিবর্তন হওয়া
সর্তকতা:
# নিজের ইচ্ছায় এন্টিবায়োটিক খাবেন না।
# গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে অতি মাত্রায় সর্তক হতে হবে।
# যেসব মায়েরা সন্তানদের দুধ পান করাচ্ছেন,উনারাও অতি মাত্রায় সর্তক হতে হবে।
# যারা জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল খান,ডাক্তারের সাথে আগে পরামর্শ করে নিবেন।
# যারা মদপান করেন,ঔষধ চলাকালিন বন্ধ রাখতে হবে।
# এন্টিবায়োটিক ঔষধের সাথে যে নির্দেশিকা থাকে,তা ভালো ভাবে পড়েন।
প্রকারভেদ :
সমগ্র এন্টিবায়োটিক সাধারণত ৬ প্রকারে ভাগ করা হয়,
# পেনিসিলিন
# সেফালোস্পোরিন
# এমাইনোগ্লাইকোসাইড
# টেট্রাসাইক্লিন
# মাইক্রোলাইডস
# ফ্লোরোকুইনোলন