If you want to avoid being infected by Hospital, follow 10 rules
আমাদের জীবনে কম-বেশী সবারই হাসপাতাল যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে। হোক সে নিজের জন্য অথবা অন্য কারো জন্য। আমরা হাসপাতাল যাই সুস্থ হবার জন্য এটা যেমন১০০% সঠিক,তেমনি হাসপাতাল থেকে আমাদের অসুস্থ হবার সম্ভাবনা ১০০% সঠিক। হাসপাতাল বা ক্লিনিক সব সময় অসুস্থ মানুষ ও এক্টিভ অর্গানিজম দ্বারা পরিপূর্ণ।আমাদের দেশে হাসপাতালে যারা রোগী দেখতে যান তাদের জন্য কোন গাইডলাইন থাকে না।হাসপাতাল গুলোতে নেই কোন “মিনিমাম ইকফেকশন কন্ট্রোল” প্রোগ্রাম। সত্যিটা হচ্ছে এই,আমরা নিজেদের অগোচরে হাসপাতাল থেকে যে কোন রোগের জীবাণু নিয়ে আসি এবং নিজে অসুস্থ হই।নয়তো নিজে ক্যারিয়ার(carrier) হিসেবে ব্যবহৃএ হয়ে আপনজনকে ইনফেক্টেড করি।
প্রস্রাবের রং দেখে রোগ সর্ম্পকে জানুন
আসুন বাঁচার জন্য নিচের নিয়ম গুলো জেনে নিই এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করি।
১) রোগী রুমে ঢুকার আগে মাস্ক,গ্লোভস ও গাউন পরিধান করি।
২) যে যে অবস্থায় অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে:
# রোগীর রুমে ঢুকার আগে ও পরে
# রোগীকে স্পর্শ করার পরে
# বাথরুম ব্যবহার করার পরে
# গ্লোভস পরার আগে ও পরে
২) নিজের মুখমন্ডল হাসপাতলে থাকাকালীন স্পর্শ না করাই উত্তম।কারণ মুখমন্ডলের চামড়া খুবই নরম ও সেনসিটিভ। মুখমন্ডলে থেকে জার্ম মুখের ভিতরে ও খাদ্যনালীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
৩) যদি নিজে অসুস্থ হোন, তবে কোনভাবেই হাসপাতাল ভিজিট করা যাবে না।
৪) রোগীর গায়ে হাত দেয়া,চুমু খাওয়া ইত্যাদি না করাই উত্তম।
৫) রোগীর পরিধানের কাপড় সাময়িক ভাবে হলেও ব্যবহার করা যাবে না।
৬) রোগীর স্যালাইন সেট,বেড প্যান,ক্যাথেটার ইত্যাদি ধরা যাবে না।
৭) রুমে ডাস্টবিন থাকলে বা শার্ফ কাটার থাকলে, তার আশে-পাশে যাওয়া যাবে না।
কফের রং দেখে রোগ সর্ম্পকে জানুন
৮) অতিবৃদ্ধ ও একদম ছোট শিশুদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অনুচিত।
৯) ডাক্তার,নার্স ও টেকনোলজিস্ট যখন কাজ করেন তখন একটু দূরত্বে থাকবেন।কারণ “নিডল প্রিকিং” ও “ক্রস ইনফেকশন” হেলথ সেক্টরে কমন ঘটনা।আপনি আহত হতে পারেন এবং যদি স্যাম্পল কালেকশন নিডল হয় তবে আপনিও ইনফেক্টেড হতে পারেন।
১০) খাওয়ার জন্য হাসপাতাল কতৃক দেয়া গ্লাস -প্লেট ব্যবহার না করাই ভালো।
১১) হাসপাতালে গিয়ে কিছু খাবেন না এবং থেকে যাওয়া ফলমূল বা অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য বাড়ীতে আনবেন না।