কিসমিস হলো শুকনো আঙ্গুর।এটিকে ইংরেজিতে রেইসিন (Raisin) বলা হয়।কিসমিস বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হয় এবং এটি সরাসরি খাওয়া যায় ও বিভিন্ন খাদ্য রান্নার সময় উপকরণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটি খেতে খুব সুস্বাদু।এটি প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
কিসমিস কত প্রকারঃ
পৃথিবীতে ৬ প্রকারের কিসমিস পাওয়া যায়।সব গুলো স্বাদে অনন্য।
১) কালো কিসমিস
২) কুরেন্ট কিসমিস
৩) সুলতানা কিসমিস
৪) লাল কিসমিস
৫) সবুজ কিসমিস
৬) গোল্ডেন কিসমিস
কিসমিসের পুষ্টি গুণঃ
কিশমিশে ওজন অনুসারে ৭২% শর্করা থাকতে পারে।যার বেশিরভাগ ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ। এগুলিতে প্রায় ৩% প্রোটিন এবং ৩.৭% –৬.৮% ডায়েটার ফাইবারও রয়েছে।আছে ফাইবার,আয়রন,বোরন ও ক্যালসিয়াম।আরো আছে ভিটামিনবি৬ ও ক্যালসিয়াম।
কিসমিস কিভাবে তৈরী হয় ?
১ কেজি আঙ্গুর ২ লিটার পানিতে নিয়ে চুলার উপর বসিয়ে দিন।এবার চুলায় ঝাল দিতে থাকুন যতক্ষণ না পানিতে বুদবুদ আসে।একটা ছাকুনি দিয়ে ছেকে পরিষ্কার কাপড়ের উপর রাখুন।এবার কড়া রোদে শুকাতে দিন।টানা ২-৩ দিন শুকান,এরমধ্যে কিসমিস তৈরী হয়ে যাবে।এবার ব্যামে ভরে রাখু।এটি ৬ মাস পর্যন্ত ঠিক থাকবে।
কিসমিসের দাম কত ?
প্রতি কেজি ২৮০ – ৩৫০ টাকা
কিসমিসের উপকারিতাঃ
# হাড় ও দাঁত মজবুত করে।
# কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
# উচ্চ রক্তচাপ কমায়।
# ক্যান্সার দূর করে।
যেহেতু প্রচুর ক্যালরি আছে,তাই এটি সেক্স পাওয়ার বাড়ায়।
সেক্সে কিসমিসের উপকারিতাঃ
কিসমিসে প্রচুর ক্যালরি আছে।এটি শক্তি বাড়ায়।এটি আপনার বিশেষ অঙ্গে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে, দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে।
কিসমিস খাওয়ার নিয়মঃ
আসলে এটি কিসমিস খাওয়ার স্পেশাল কোন নিয়ম নেই।তবে এটি ধুয়ে খেতে হবে।পানিতে ভিজিয়েও খাওয়া যায়। দিনে ২-৩ বার খেতে পারে,অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না।খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়।
কিসমিস খেলে কি ওজন কমে ?
এটি এক দিক দিয়ে সত্য।ফাস্ট ফুড খেয়ে ওজন বাড়িয়ে ফেলে মানুষ,তাই স্ন্যাকস হিসেবে কিসমিস দিয়ে তৈরী বিভিন্ন খাবার খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
কিসমিস খেলে কি মোটা হওয়া যায় ?
না।কিসমিস খেলে শক্তি বাড়ে,ওজন মোটেও বাড়ে না।
Reference: https://bn.wikipedia.org/