SLE বা লুপাস খুব কমন রোগ নয়, তবে যাদের হয় তাদের জন্য কষ্টকর। আশার বিষয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব উন্নয়ন।
আজ থেকে ৫০ বছর পূর্বে বেশিরভাগ SLE রুগি ই রোগ নির্নয়ের ৫ বছরের মধ্যে মারা যেতেন, কিন্তু এখনকার সময়ে চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বিশেষজ্ঞ রিউম্যাটোলজিস্ট এর ফলোআপে থাকা। আমরা এমন ও SLE রুগি পাই যাদের রোগ নির্ণয় হয়েছে আজ থেকে ২০ বছর আগে এবং উনি ভাল আছেন।
তবে রোগ- নির্ণয় থেকে শুরু করে SLE রুগির চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ রিউম্যাটোলজিস্টকে অনেক চড়াই উতরাই পেরোতে হয়।
SLE লুপাস রুগি সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি জ্বর, মুখে লালর্যাশ, শরীর/ গিরাব্যথা, লাল/ফেনা প্রস্রাব, এমনকি কখন ও কখনো রক্তশূন্যতা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। কিছু রুগির ক্ষেত্রে platelet count বা অনুচক্রিকা কমে যেতে পারে।কিছু SLE রুগির হাতে, পায়ে বা পেটে পানি আসতে পারে।
এইরোগ যেহেতু অল্পবয়সী মহিলাদের বেশি হয়, তাই অনেক রুগি/ অভিভাবক জিজ্ঞাসা করেন, রুগি বিয়েশাদি করতে পারবেন কিনা বা সন্তান নিতে পারবে কিনা?
উত্তরে বলবো অবশ্য ই পারবেন তবে আমাদের সাথে পরামর্শ করার পর। কারণ এইরোগের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু ওষুধ আছে যেগুলো গর্ভাবস্থায় দেয়া যায়, কিছু দেয়া যায় না। তাছাড়া এখানে সামাজিক একটি ব্যাপার আছে যেটি বিয়েশাদির ক্ষেত্রে খুব ই গুরুত্বপূর্ণ।
এই ধরণের রুগিদের রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাই কিছু ভ্যাক্সিন বা টীকা SLE রুগিদের দিতে হয়।
এই ধরণের রুগিদের প্রতি ২ থেকে ৩ মাস পরপর কিছু blood/ urine টেস্ট করতে হয়। এগুলো করতে হয় রোগের উন্নতি এবং ঔষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য।সর্বোপরি রুগির স্বার্থে ই এগুলো করতে হয়।
পরিশেষে বলবো, SLE লুপাস এর মত ই দীর্ঘমেয়াদি বাতরোগে যারা ভুগেন, তাদের চিকিৎসায় রোগ-নিয়ন্ত্রনকারী ঔষুধের গুরুত্ব অনেক বেশি। সাথে সাথে ২-৩ মাস পরপর ডাক্তারের ফলোয়াপে ও আসা গুরুত্বপূর্ণ।।
এধরনের রোগে বিশেষজ্ঞ রিউম্যাটোলজিস্ট এর পরামর্শ নিন, সুস্থ ও ভালো থাকুন।।
Reference: https://www.facebook.com/bestrheumatologistctg