প্রতিটি শিশু তাদের মাতা-পিতার জীবনে অনাবিল সুখ নিয়ে আসে,সাথে একটু চিন্তা।কিভাবে এ নবজাতকের যত্ন করবে,এ নিয়ে তটস্থ থাকে।প্রত্যেক মা-বাবাই সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকে তাদের সন্তান যেন সুস্থ থাকে।যত্নের ব্যাপারে সব কিছুই মা-বাবার জন্য নতুন ও প্রথমবারের মত করতে হচ্ছে,সেখানে মা-বাবা যদি তাদের মেয়ে শিশুর ডায়াপারে রক্ত দেখতে পান তাহলে এটা অবশ্যই তাদের জন্য খুবই উদ্বেগের ও ভয়ের ব্যাপার হয়ে দাড়ায়।এটি আসলে যতটা ভয়ের সৃষ্টি করে ততটা ভয়ের কারণ নেই।এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা।পিরিয়ডের মতই ন্যাচারাল ঘটনা।
একটা কথা প্রচলিত,মেয়েদের প্রথম মাসিক জন্মের প্রথম স্প্তাহের মধ্যেই হয়।এটা সত্যি,অনেকের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে,তবে সেটাকে প্রথম মাসিক বলা যায় না।অনেক নবজাতক মেয়ে শিশুর জন্মের পরেই তাদের যৌনাঙ্গ দিয়ে সাদা-হলুদ স্রাব বের হয়,রক্তও বের হয়।তবে এগুলো মাসিক নয়।
এটাকে বলে Pseudo-menstruation -ছদ্মমাসিক বলে।এটি সাধারণত জন্মের পর থেকে প্রথম ১ মাসের মধ্যে হয়ে থাকে।এব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বলেন,যেহেতু গ র্ভকালিন সময়ে শিশু তাদের মায়ের হরমোনের সাথে সংস্পর্শে চলে আসে তাই এমনটা হয়ে থাকে।
মায়ের গর্ভে নবজাতকের শরীরে মায়ের থেকে কিছু হরমোন প্রবেশ করে যা তার বেড়ে উঠার জন্য জরুরি। জন্মের পরপরই নবজাতকের শরীর থেকে এই হরমোন গুলো বের হয়ে যায়।আর বের হওয়ার মাধ্যম হলো মেয়ে শিশুর যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্তস্রাব।এটি গাড়,সাদা,বা লাল রংয়ের হতে পারে।
তবে আরো বিভিন্ন কারণে শিশুর রক্তস্রাব হতে পারে:
# শিশুর যত্ন নেয়া বা পরিষ্কার করার সময় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
# ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে
# যৌনাঙ্গ নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হয় না হলে ইনফেকশন হয়ে রক্ত বের হতে পারে।
# শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে,মকদ্বারের কিছু জায়গা সামান্য ফেটে যেতে পারে সেকারণে রক্ত বের হতে পারে
# ইনপেকশন হলে প্রস্রাবের সাথে রক্ত যেতে পারে
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেনঃ
# রক্তক্ষরণ ৪ দিনের বেশী হলে
# যৌনাঙ্গের উভয় পাশের পাপড়ি একে অপরের সাথে একটি পাতলা আবরণের গদিয়ে লেগে আছে।জন্মের সময় এমনটা সাধারণত হয় না।এটি ইনফেকশনের ঝুকি বাড়ায়।
# জন্মের যৌনাঙ্গ ফুলে থাকা স্বাভাবিক ব্যাপার।তবে ৪-৫ দিন পরেও ফোলা না কমলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।
# প্রস্রাব বা পায়খানার করার সময় কান্না করলে।
# প্রস্রাব বা পায়খানায় অতিরিক্ত বাজে গন্ধ আছে কিনা
সর্তকতাঃ
# নিয়মিত মেয়ে শিশুর যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করুন।
# পাপড়ির ভাজেও পরিষ্কার করুন কারণ সেখানে রক্ত জমে থাকতে পারে।
# কখনো কুসুম গরম পানি ছাড়া পরিষ্কার করবেন না।সাবান বা অন্য কিছু ক্লিনার ব্যবহার করবেন না।