এডিনয়েড হলো কিছু লসিকা গ্রন্থির গুচ্ছ( group of lymphoid tissue) যেটি নাকের ভিতরে নেসোফেরিংস এর পেছনের দেওয়াল এবং ছাদ এর সংযোগ স্থলে থাকে। এটি শরীরে জীবাণু ঢুকাকে বাঁধাদান করে।
দশ বছরের পর থেকে এটি নিজে নিজে সংকুচিত হয়ে যায়।
অনেক সময় বাচ্চাদের এডিনয়েড আকারে বড় হয়ে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করে।
যেমন:
নাকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়-
১, মুখ হা করে শ্বাস নেয়।
২, খাওয়ার কষ্ট পরিলক্ষিত হয়।
৩, মাঝে মাঝে শ্বাসকষ্ট দেখা যায় এবং কণ্ঠস্বরের অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়।
৪. রাতে বার বার ঘুম ভেঙে বাচ্চা চিৎকার করে।
Eustachian tube( কানের একটি নালি) বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে নিম্নলিখিত লক্ষণগুলো দেখা যায়-
১, কানে কম শোনা।
২. কানে ব্যথা অনুভব করা।
৩, কান দিয়ে পানি পড়া।
সমস্যা বেড়ে “এডিনয়েড ফেসিস” বা চেহারার গঠনগত পরিবর্তন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে নিম্নলিখিত লক্ষণসমূহ দেখা যায়-
১, নাকের ছিদ্র ছোট এবং চিকন হয়ে যায়।
২, সামনের দাঁত সমূহ (incisor teeth) সম্মুখ দিকে প্রলম্বিত থাকে।
৩, চেহারার expressioন থাকে নিস্প্রভ।
৪, মুখের পাশ দিয়ে প্রায় সময় লালা ঝরে।
৫, পুষ্টিহীনতায় ভোগে।
# রোগ নির্ণয় করার পরীক্ষা সমূহ:
১.
Posterior rhinoscpoy এর মাধ্যমে তিন বছর বয়সের ঊর্ধ্বে অনেক সময় এডিনয়েড দেখা যায়।
২.
X-ray nasopharynx খুবই জরুরী পরীক্ষা।
♦️চিকিৎসা:
যাদের লক্ষণ বেশি তীব্র নয় ও রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পরেছে তাদেরকে
নাকের ড্রপ, কিছু মুখে খাওয়ার ওষুধ, শ্বাসের ব্যায়াম এর মাধ্যমে চিকিৎসা সম্ভব।
Surgery:
যাদের লক্ষণ বেশি তীব্র তাদের ক্ষেত্রে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা নেওয়া জরুরী।
সম্পাদনাঃ
ডাঃ মোঃ আবুল বশর
এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ডি এল ও(ই এন টি)
নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ এন্ড হেড-নেক সার্জন।
চেম্বার: ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, আগ্রাবাদ চট্টগ্রাম।