আমাদের দেশে বিবাহিত জীবনের কিছু ব্যাপার নিয়ে একদমই আলোচনা হয় না।সহবাসের পরে রক্তপাত-তার মধ্যে একটি।কুসংস্কার ও না জানার কারণে মাঝে মাঝেই আমরা করুণ মৃত্যুর খবর পাই,অথচ একটু সচেতনতা এ জীবন গুলো বাঁচাতে পারতো।
এটি লজ্জাজনক কোন ব্যাপার নয়,খুবই সাধারণ ব্যাপার।বরঞ্চ আপনার অহেতুক লজ্জা আপনার প্রিয়জনের মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
চট্টগ্রামের সেরা বন্ধ্যাত্ব স্পেশালিস্ট
ঘটনা-১ঃ
সোনালী, ১৮ বছর ইমার্জেন্সী তে এসেছে মাসিকের রাস্তা দিয়ে প্রচুর রক্ত ঝরছে,রোগীর সাথের লোক কিছু বলতে চাইছেনা,,শুধু বলছে রাতের বেলা থেকে রক্ত পড়ছে,,শাড়ির ভেতর থেকে হঠাৎ খেয়াল হল হাতে মেহেদী দেয়া,,, গোল্ডের চূড়ি পড়া ,যা বোঝার বুঝে গেলাম,,,,,,মোটামুটি অবস্থা সম্পন্ন পরিবার। জিজ্ঞেস করলাম,, রাত থেকে ব্লিডিং যে হচ্ছে, কেন তখন নিয়ে আসেন নাই,,?
বললো – বিয়ে বাড়ি, এত মানুষ,, কেমনে নিয়ে আসি??
সোনালীর ভাগ্য এত ভালো ছিলোনা। হাসপাতালে আসছে শক নিয়ে।। হাতের তালু, পায়ের নীচ রক্তক্ষরনে সাদা হয়ে গেছে ।।আর বাচানো গেলোনা।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
ঘটনা-২ঃ
বরিশাল বিভাগে গ্রামে চাকরী, সন্ধ্যায় এক ভদ্রলোক আসলো,,,,,অফিস টাইমের পর ফাও আলাপ করতে কার ভালো লাগে।।
ভদ্রলোক -স্যার, একটা কথা জিজ্ঞেস করি,,আমি আমার বউরে তালাক দিতে চাই,,
আমি – তাহলে আমার কাছে কেন?
ভদ্রলোক- আমারে একটা সার্টিফিকেট দেওয়ার ব্যবস্থা করেন,,যে আমার বউ এর চরিত্র খারাপ।
আমি- আপনি কিভাবে বুঝলেন?
ভদ্রলোক – স্যার বিয়ের রাতে তো রক্ত ভাংগে নাই।
আমি হ্যা করে তাকিয়ে রইলাম।
ঘটনা-৩ঃ
বন্ধুর বিয়েতে সবাই জামাইকে বুঝচ্ছে,,,শোন আজকে রাতে বিড়াল না মারতে পারলে কিন্তু তুই শেষ,,,,,ভোর রাতে ছুটাছুটি
আর অবৈধ কাজ করে কত যে বিচিত্র কারণে ফোন করে, এখন কি করবো?
উপরের এরকম হাজারো ঘটনার স্বাক্ষী আমরা,,আর কোন ডাক্তার যদি বলে এসব ঘটনা জানেননা বা কখনো শুনে নাই- ডাহা মিথ্যা কথা বা তিনি মেডিকেল কলেজে পড়েন নাই,, আলিশান ক্লিনিক থেকে এমবি বিএস পাশ করেছেন, যেই ক্লিনিক সিজার অপারেশন এর টাকা দিয়ে চলে, আর ক্রিটিকাল রোগী দেখলে দরজা থেকেই সরকারী হাসপাতালে রেফার করে।
এরকম একটা ইস্যুতে কেন আমরা চিকিৎসক সমাজ চুপ বা লজ্জা পায়,,যেখানে মানূষের জীবন মরণ জড়িত,,,এত লজ্জা আমাদের,, তাহলে বই থেকে শরীরের প্রাইভেট পার্টস এর চাপ্টার বাদ দেয়া উচিত।।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ প্রসূতী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার
যা করা উচিতঃ
১) সুস্থ শারীরিক সম্পর্কে আপনার পার্টনারের সম্মতির সাথে সাথে তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করুন।
২) অবস্থা যদি নিতান্ত খারাপ হয়ে যায়, ব্লিডিং কন্ট্রোল হচ্ছেনা, ,দেরী না করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে আসুন।
৩) সতিচ্ছেদ কুমারী মেয়ের নাও থাকতে পারে,এর শতকরা হার অনেক।বিভিন্ন খেলাধূলা,এমনকি গাছে চড়ার সময়েও এটি ছিড়ে যেতে পারে।
৪) শারীরিকভাবে মিলন করার আগে সংঙ্গীকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত হতে সময় দিন।
৫) রেপ হলেই যে রক্তে ভাসে তা না, বৈধ রিলেশনেও রক্তে ভাসে অনেকে,তা অনেক ক্ষেত্রে লজ্জায় সামনে আসেনা।
৬) শারীরিকভাবে মিলন করার আগে প্রয়োজনে গাইনীকোলজিস্টের পরামর্শ নিন।
আপনার সচেতনতাই পারে অকাল মৃত্যু রোধ করতে।
Courtesy: Dr.Syed Mohammad