যৌনরোগ একটি সংক্রামক রোগ।এটি একজনের কাছ থেকে অন্য জনের কাছে ছড়ায়।এটি একটি মারাত্মক রোগ,যা রোগীকে অন্ধ,এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
আমাদের দেশে মানুষ এটির ব্যাপারে আলোচনা করতে সংকোচ করে এবং রোগীরাও লুকিয়ে থাকে।যার ফলে পরবপরবর্তীতে বিভিন্ন সমস্যায় পড়ে।অনেকে রাস্তাঘাটের বিভিন্ন আজে-বাজে ঔষধ খেয়ে নিজের জীবন ধংস করে ফেলে।
পুরুষের পিরোনির রোগ কি এবং কেন হয় ?
যৌনরোগ গুলো কিভাবে ছড়ায়ঃ
# যৌন সঙ্গমের মাধ্যমে
# রক্ত দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে
# প্লাজমা দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে
# একই সূচ ও সিরিঞ্জ একাধিক ব্যক্তি ব্যবহার করলে
# নাপিতের ব্লেড একাধিক জন ব্যবহার করলে
আসুন ১০ টি যৌনরোগ সম্পর্কে জেনে নিইঃ
১) ক্লামিডিয়া
যোনী এনং পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ এই রোগের লক্ষণ।গড়ে ৫০% পুরুষ প ৭০% মহিলাদের মধ্যে এই রোগ দখা যায়।দ্রুত চিকিৎসা করলে সেরে উঠা সম্ভব।ক্লামিডিয়া হলে খুব সহজেই অন্যান্য যৌনরোগ বাসা বাঁধে।
২) গনোরিয়া
সচারচর ক্লামিডিয়া এবং গনোরিয়া একই সঙ্গে হয়।যোনী ও পুরুষাঙ্গ থেকে অস্বাভাবিক ক্ষরণ,মূত্র ত্যাগ করার সময় যন্ত্রণা ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ।চিকিৎসা না করলে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
৩) যৌনাঙ্গে হার্পিস
৮০% মানুষ যাদের যৌনাঙ্গে হার্পিস রয়েছে তারা জানেন না যে তাদের শরীর আসলে একটি ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। নিজেদের অজান্তে তারা অন্যজনকে সংক্রমিত করছে।যৌনাঙ্গে ছোট ছোট ফোস্কার মত র্যাশ এই রোগের লক্ষণ।ফোস্কা পড়ার বেশ কয়েক ঘন্টা আগে থেকে চুলকানি অনুভূতি হয় যৌনাঙ্গে।একটা নির্দিষ্ট সময় অন্তর বার বার এই র্যাশ গুলি হতে থাকে।
৪) সিফিলিস
প্রাচীনকাল থেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে মানুষ।ঠিক সময় ধরা পড়লে সহজে সারানো যায়।কিন্তু রোগ বেড়ে গেলে তা সাঙ্ঘাতিক যন্ত্রণাদায়ক।যৌনাঙ্গে,পায়ু এবং মুখে আলসার হয়,এমনকি চোখ ও মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়।এটি যৌনরোগ গুলোর মধে অন্যতম মরণরোগ।তবে, প্রাথমিক অবস্থায় এই রোগের লক্ষণ শরীরে চট করে ধরা পড়ে না।
৫) যৌনাঙ্গে আচিল বা ওয়ার্ট
যৌনাঙ্গে এবং পায়ুর আশেপাশে আচিলের মত র্যাশ এক ধরনের যৌন রোগ।একত্রে একসঙ্গে অনকগুলি আচিল দেখা যায়।হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস,যা সার্ভিক্যাল ক্যানসারের কারণ এবং যৌন সংসর্গে এক শরীর থেকে অন্য শরীরে ছড়ায়,তাই এই রোগের জন্ম দেয়।এটি অনেকসময় ফোস্কার মত হয়ে যায়,এমনকি আলসারের মত হয়ে যেতে পারে।
৬) হেপাটাইটিস -বি
এটি যৌন সংসর্গে ফলে ছড়ায়।একই ভাবে হেপাটাইটিস -এ এবং হেপাটাইটিস -সি ছড়ায়।
হেপাটাইটিস -বি হলে খাদ্যে অরুচি,বমি বমি ভাব, শরীর ব্যথা,হালকা জ্বর,প্রস্রাব গাঢ় হওয়া ইত্যাদি।এ লক্ষণ গুলি ধীরে ধীরে জন্ডিস রূপে নিতে থাকে।অনেক সময়,রোগীর শরীরে চুলকানি হতে পারে।এ অসুস্থতা গুলো কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয় এবং এরপর ধীরে ধীরে এ অবস্থার অবনতি ঘটে।
৭) এইচ আই ভি
এটি মরণব্যাধি রোগ নয় কিন্তু এর কারণে রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যায়।এ ভাইরাসে আক্রান্তে হতে কমপক্ষে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত লাগতে পারে।তবে অনেক সময় ১০ বছর কোন লক্ষণ দেখা দেয় না।
৮) যৌনকেশে উকুন
মাথার চুলের মত যৌনাঙ্গের কেশেও উকুন বাসা বাঁধতে পারে এবং শারীরিক মিলনের সময়ে তা অন্যের শরীর সংক্রমিত হয়।যৌনাঙ্গে আশেপাশে চুলকানি হলে তা এই কারণে হতে পারে।
৯) ট্রাইকোমোনিয়াস
ট্রাইকোমোনিয়াসিস ভ্যাজিনোসিস যৌন জীবাণু দ্বারা আনুমানিক সারা বিশ্বে ১৭০ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত। এ অসুখটি পুরুষের চাইতে মহিলাদের ক্ষতি বেশী হয়।এটির কারণে মহিলাদের সাদা স্রাব হয়ে থাকে।
১০) ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস
এটি মহিলাদের হয়ে থাকে।এই রোগের কারণে যা প্রায়শই আঁশটে গন্ধ করে।সাধারণত ১৫-৪৪ বছরের মহিলাদের এ রোগ বেশী হয়।