Why women should get Pap test regularly ?
পেপ টেস্ট (Pap Test) একটি হিস্টো-প্যাথলজিক্যাল টেস্ট যার দ্বারা মহিলাদের সারভিকাল বা জরায়ুর ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করা হয়।ক্যান্সার ছাড়াও আরো বিভিন্ন রোগে এ টেস্ট করা হয়।একটি নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত নিয়মিত এ টেস্ট করা উচিত।২০১৮ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী,৫ লাখ ৭০ হাজার নতুন রোগী এ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে।
সাধারণত বিশেষজ্ঞরা ২১ বছর বয়স থেকে এ টেস্ট শুরু করতে বলেন।৩০ বছর বয়স বা এর বেশী হলে প্রতি পাঁচ বছরে একবার। ৪০ বছর বা এর বেশী হলে প্রতি ৩ বছরে একবার এ টেস্ট করতে হবে।এর বাইরে ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজন চিকিৎসার অনুযায়ী করতে হবে,বিশেষ করে যারা ঝুকিতে আছেন।
চট্টগ্রামের সেরা ১০ ডাক্তার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
কারা ঝুকিতে আছেন:
# জরায়ু তে প্রি-ক্যান্সার সেল পাওয়া গেছে
# এইচআইভি -তে আক্রান্ত
# দূর্বল রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার অধিকারী
# স্মোকার
# অঙ্গ প্রতিস্থাপন হয়েছে এমন রোগী
# কেমোথেরাপি চলছে এমন রোগী
# জন্মের আগে বা সময় ” ডাইইথাইলবেস্ট্রল” এর সংস্পর্শে আসছে এমন রোগী
কাদের পেপ টেস্ট করতে হবে না:
# যাদের ” হিস্টোরেক্টমি” হয়েছে,জরায়ু অপারেশন করে রিমুভ করা হয়েছে।(এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে)
# বয়স ৬৫ বছরের বেশী হলে এবং পূর্বের পেপ টেস্ট রিপোর্ট “নেগেটিভ ” আসলে
রোগীর প্রস্তুতি:
# টেস্ট করার আগে ৪৮ ঘণ্টা শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকতে হবে
# টেস্ট করার আগে কোন ভ্যাজাইনাল জেল, ফোম ব্যবহার করা যাবে না
# পিরিয়ড চলাকালীন এ টেস্ট করা যাবে না
সর্তকতা:
# খুবই ভালো মানের ল্যাবে এ টেস্ট করাতে চেষ্টা করবেন
# দক্ষ টেকনোলজিস্ট দিয়ে কালেকশন করাতে চেষ্টা করবেন
# পরপর ২দিন আলাদা ২টি ল্যাবে টেস্ট করাতে চেষ্টা করবেন
ফলস-নেগেটিভ রিপোর্ট কেন আসতে পারে:
# যদি কালেকশনে ভুল হয়,সারভিক্সের প্রারম্ভের দিকের “সেল” কালেক্ট করে
# যদি রোগী এবনরমাল সেল একদম কম থাকে
# যদি রক্তকণা, পাস সেল বা অন্য কোন ইনফেকশন থাকে