প্রত্যেক নারী কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু নিয়ে জন্ম নেয়। গর্ভকালীন ৫ মাসের সময় এই ডিম্বাণু সংখ্যা সর্বোচ্চ থাকে, এরপর তা ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং ৩০ থেকে ৩৫ বছরের পরে খুব দ্রুত কমে যায়।
শুধু তাই না ৩০ বছরের পরে মহিলাদের ডিম্বাণুর কোয়ালিটি আর আগের মত থাকে না। যার ফলে এ ধরনের ডিম্বাণুর মাধ্যমে ত্রুটিপূর্ণ ভ্রূণ এবং পরবর্তীতে এবরশনের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাছাড়া বয়স বাড়ার সাথে সাথে কিছু কিছু জন্মগত ত্রুটি সম্পন্ন বাচ্চা হবার চান্স থাকে, যেমন ডাউন সিনড্রোম। তাই দেখা যায় পড়াশোনা, ক্যারিয়ার শেষ করে যেসব মেয়েরা বাচ্চা নেওয়ার প্ল্যান করছেন তাদের অনেককেই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
এমন একটি সমস্যা হচ্ছে “early ovarian aging” যেখানে ডিম্বাণু সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত কমে যায়। শতকরা 10 ভাগ ক্ষেত্রে এমনটি হতে পারে। তবে পেশেন্টের কোন সমস্যা থাকে না, মাসিক রেগুলার থাকে, কিন্তু বাচ্চা নেবার চেষ্টা চালালে বারবার ব্যর্থ হয় কিংবা এবরশন হয়ে যায়।
বিভিন্ন কারণে ওভারি এভাবে খুব দ্রুত বুড়িয়ে যায়। কারণগুলো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের অটোইমিউন ডিজিজ যেমন:
# থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা,
# ইনফেকশন,
# এন্ডোমেট্রিওসিস,
# ধূমপান /স্মোকিং,
# কিছু কিছু মেডিসিন, কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি ইত্যাদি।
# নিয়মিত শরীরচর্চা, ওজন স্বাভাবিক রাখা এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ কিছুটা হলেও ডিম্বাণুর কোয়ালিটি ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং প্রেগনেন্সি হওয়ার চান্স বাড়িয়ে দেয়।
ডা. নুসরাত জাহান
এসোসিয়েট প্রফেসর
খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ।