বাংলাদেশে ফুসফুস আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।ধূলাবালি,ধূমপান ও অস্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনের কারণে আক্রান্ত রোগী বাড়ছে।মানুষের হৃদরোগ,কিডনী ও লিভার নিয়ে যে পরিমাণ সচেতনতা রয়েছে,ফুসফুসের জন্য তার অর্ধেকও চিন্তিত নই।
তবে এবার”করোনা ভাইরাস” আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে অবশ্যই ফুসফুসের যত্ন নিতে হবে।এবার করোনা ভাইরাসের যারা মারা গিয়েছেন বেশীরভাগেরই আগে থেকে ফুসফুসের সমস্যা ছিল,হয় তার জানতেন না অথবা উনারা চিকিৎসার ব্যাপারটি এড়িয়ে গিয়েছেন।
নিয়মিত ফুসফুসের জন্য টেস্ট কেন দরকার ?
# ফুসফুসের সার্বিক অবস্থা জানার জন্য
# শ্বাসকষ্টের কারণ বের করার জন্য
# চিকিৎসাকালিন অগ্রগতি বুঝার জন্য
# একিউট ও ক্রনিক রোগ নির্ণয় করার জন্য
# ফুসফুস কতটুকু বাতাস ধারণ করতে পারছে তা জানার জন্য
# এলার্জি আছে কিনা
# রেসপিরেটরি ইনফেকশন আছে কিনা
চট্টগ্রামের সেরা ১০ ডাক্তার সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন
***কি কি টেস্ট করতে হয় ?
ব্লাড স্যাম্পল থেকে—-
# ব্লাড গ্যাস এনালাইসিস
# সিবিসি
# কম্প্রেসিভ মেটাবলিক প্যানেল
# সেরাম আইজি-ই
কফ স্যাম্পল থেকে—
# এএফবি স্টেইন
# গ্রাম স্টেইন
# স্পুটাম কালচার
# স্পুটাম ফর ফাঙ্গাল টেস্ট
হিস্টোপ্যাথলজি টেস্ট—
# লাং বায়োপসি
# লাং ক্যান্সার টেস্ট ফর থেরাপি
# স্পুটাম সাইটোলজি
নন-ল্যাবরেটরি টেস্টঃ
# স্পাইরোমেটরি
# পালস অক্সিমিটার
# লাং ভলিউম
# লাং ডিফিউশন ক্যাপাসিটি
ইমেজিং টেস্টঃ
# চেস্ট এক্সরে
# সিটি স্ক্যান
# এমআরআই
# আলট্রাসাউন্ড
# নিউক্লিয়ার লাং স্ক্যানিং
৬ টি টেস্ট প্রত্যেক ধূমপায়ীর নিয়মিত করা দরকার
টেস্ট করার প্রস্তুতিঃ
# টেস্ট করার আগে ভারী খাওয়ার খাওয়া যাবে না।
# চা বা কফি থেকে বিরত থাকতে হবে
# ধূমপান করা যাবে না
# টেস্ট করার ৬ ঘন্টা আগে থেকে ব্যায়াম করা যাবে না
# ঢোলা কাপড় পড়ে যাওয়াটাই উত্তম
# যদি ইনহেলার ব্যবহার করে থাকেন,তাহলে টেস্ট করার ৬-৮ ঘন্টা আগে তা বন্ধ রাখতে হবে।
# যদি নিয়মিত ঔষধ খান তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
# টেস্ট করার আগে প্রস্রাব করে নিবেন যাতে ব্লাডার খালি থাকে।
# ব্যথার ঔষধ খেতে পারবেন না
# পেটে গ্যাস জমলে তা ক্লিয়ার করে নিতে হবে।
সর্তকতাঃ
# নন-ল্যাবরেটরি টেস্ট গুলো সম্পূর্ণ নির্ভর করছে রোগীর উপর,ইন্সট্রাকশন মেনে চললে রিপোর্ট একুরেট আসবে।
# রোগী যদি “প্রেগন্যান্ট ” হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
# যদি সাম্প্রতিক রোগীর চোখের অপারেশন হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
# যদি পেটের বা বুকের অপারেশন হয়,তাহলে ডাক্তারের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করুন।
# গত ৩ মাসের মধ্যে রোগীর হার্ট এট্যাক বা স্ট্রোক হয়ে থাকলে, টেস্ট করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন