প্রাথমিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত উপকরণাদি যে নির্দিষ্ট বাক্সে থাকে, তাকে ফার্স্ট এইড বক্স বলে। ফার্স্ট এইড বক্স একটি অতিদরকারি জিনিস। প্রয়োজনের সময় দৌড়াদৌড়ি না করে হাতের নাগালে ফার্স্ট এইড বক্স থাকলে খুব সহজেই রোগীকে কিছুটা সামলানো যায়। এতে রোগীসহ আশপাশে লোকজনের অস্থিরতাও অনেকটা কমে। তাই একটা ফার্স্ট এইড বক্স থাকা ও প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে সবার মোটামুটি জ্ঞান থাকা দরকার। প্রয়োজনে তা খুব কাজে দেয়।বাক্সটি রাখতে হবে হাতের নাগালে। তবে শিশুদের নাগাল থেকে বাঁচাতে একটু উঁচু স্থান বেছে নিন।
বাড়িতেও কখনো কখনো ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। তাই বাড়িতে গরম পানি, আগুন, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, ধারালো জিনিস ব্যবহার ও সংরক্ষণে সতর্ক তো থাকতেই হবে, পাশাপাশি আকস্মিক দুর্ঘটনা ঘটে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার উপকরণ হাতের কাছে থাকা ভালো। ছোট একটি বাক্সে এসব গুছিয়ে রাখতে পারেন, যা পরিচিত ‘ফার্স্ট এইড বক্স’ নামে। বাক্সটি রাখতে হবে হাতের নাগালে। তবে শিশুদের নাগাল থেকে বাঁচাতে একটু উঁচু স্থান বেছে নিন।
ফার্স্ট এইড বক্সে যা থাকবেঃ
*অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ (যেমন স্যাভলন, ডেটল, পোভিডন আয়োডিন দ্রবণ)।
*অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম।
*তুলা, গজ, কাঁচি।
*ব্যান্ডেজ (ছোট ব্যান্ডেজের স্ট্রিপ কিনতে পাওয়া যায়)।
*মাইক্রোপোর (সাদা রঙের পাতলা একটি জিনিস, যা স্কচটেপের মতো আটকানো যায়)।
*দুটি তিন কোণা বড় কাপড়।
*মাঝারি আকারের কাপড়।
*বেশ কয়েক প্যাকেট খাওয়ার স্যালাইন।
*প্যারাসিটামল ট্যাবলেট ও গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ।
*পোড়া জায়গায় ÿলাগানোর মলম (যেমন সিলভার সালফাডায়াজিন ১% ক্রিম, যা শুধু বাহ্যিক ব্যবহার্য)।
*থার্মোমিটার।
*ক্রেপ ব্যান্ডেজ।
এ ছাড়া স্টেথোস্কোপ ও রক্তচাপ মাপার যন্ত্র রাখা যেতে পারে।
ফার্স্ট এইড বক্স স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, কল কারখানায় এমনকি বাসাবাড়িতে বা গাড়িতেও রাখা যায়। বাসায় ও গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খুব অল্প সময়ের মধ্যে ফার্স্ট এইড বক্স থেকে প্রয়োজনের জিনিসটা তুলে নেয়া যায়।