A Leading Doctor information Site In Chittagong

d2
d1
WhatsApp Image 2025-04-21 at 22.16.33_3e14866c
kk
4
a5
a3
5
dr3 (1)

পুরুষের মুড সুইং- কি এবং কেন হয়

পুরুষের মুড সুইং- কি এবং কেন হয়

ছেলেদের বা মেয়েদের উভয়ের শরীরে টেস্টোস্টেরনের পাশাপাশি স্ট্রোজেন (ফিমেল সেক্স হরমোন) ও আছে। মেয়েদের শরীরে স্ট্রোজেন বেশি টেস্টোস্টেরন কম, ছেলেদের উল্টা। ছেলেদের শরীরে কিছু টেস্টোস্টেরন ভেঙে স্ট্রোজেনে রূপান্তরিত হয়। আমাদের ওজনের ফ্যাট সেল (চর্বি কোষ) টেস্টোস্টেরন কে স্ট্রোজেনে রূপান্তর করে। ছেলেদের শরীরে যত বেশি স্ট্রোজেন বাড়তে থাকে টেস্টোস্টেরন তত কমতে থাকে এবং ছেলেরা ততবেশি ইরিটেড বা বিরক্ত হতে থাকে, এর সাথে নিজেদের আইডেন্টিটি ভুলে রিয়াক্ট করতে থাকে। তারমানে টেস্টোস্টেরণ যত কম ইরেটিবল মেইল সিন্ড্রোমে (irritable male syndrome) আক্রান্ত হবার আশংকা তত বেশি।

 

IMS এর লক্ষণ কি কি?

যদিও এটি মেয়েদের পিরিয়ড কালীন সময়ের লক্ষণগুলার সাথে কিছুটা মিলে যায় কিন্তু ছেলেদের ক্ষেত্রে মেয়েদের মতো শারীরিক যে ক্রিয়াকলাপ তা হয়না বলে ছেলেদের এই লক্ষণগুলো নিয়মিত না। এর কোন রেগুলার প্যাটার্ন নেই। ইরেটিবল মেইল সিন্ড্রোমের লক্ষণ হলো- বিনাকারণে
‌# ক্লান্তি
‌# বিভ্রান্তি বা কনফিউশান
‌# হতাশা বা মন খারাপ থাকা
‌# রাগ
‌# বিরক্তি
‌# উদ্বেগ
‌# অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা
‌# যৌন চাহিদা কমে যাওয়া
‌# মুড সুইং এবং আচরণগত অসমঞ্জস্যতা
এই সিম্পটম বা লক্ষণগুলো যদি দীর্ঘ সময় কারো মধ্যে দেখা দেয় তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া দরকার।

 

 

কি কি ফ্যাক্টর বা বিষয় পুরুষ হরমোনের এই পরিবর্তনের জন্য দায়ী?

 

 

১। বয়স– স্বাভাবিকভাবেই ৩৫-৪০ বছর থেকে পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমতে শুরু করে। যেটাকে বলাহয় মেইল মেনোপজ। যেহেতু টেস্টোস্টেরন কমার সাথে আবেগের সম্পর্ক আছে তাই দেখা যায় ৩৫ এর পর পুরুষের বিরক্তি, মেজাজ খিটখিটানি বেড়ে যায়। টিনেজদের ক্ষেত্রে হরমোনের গঠন পরিপূর্ণ হওয়া শুরু করে তাই তাদের ক্ষেত্রেও মেজাজ খিটখিটে থাকা স্বাভাবিক।

 

 

২। স্ট্রেস বা চাপ– সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা ফ্যাক্টর। স্ট্রেস লেভেল যত বেশি টেস্টোস্টেরণ তত কম। আর বিরক্তি রাগ মেজাজ ও তত চড়া। স্ট্রেসের কারণেই পরিবারে বা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আনাকাঙ্খিত ঝামেলা বাঁধে। সকল পারিবারিক কলহের বাবা এই স্ট্রেস। ঘরের লক্ষীর স্ট্রেস তো যে কোন পুরুষের জন্যই এভারেস্টে উঠার চেয়েও কঠিন বিষয়। এজন্যই ভাবি কলিকাতা হারবাল এত পপুলার কেন! অথচ মানুষ কোন সাইকোলজিস্টের কাছে যাবেনা যেখানে সবচেয়ে ভাল সামাধান সে পাবে। স্ট্রেসের সাথে সেক্সের সম্পর্কের বিষয়ে বলিউডের একটা মুভি আছে Made in Chaina, রাজকুমার রাও এর মুভি। রিকমেন্ডেট!

 

৩। খাদ্যাভ্যাস বা ওজনের পরিবর্তন ও টেস্টোস্টেরণের ঘাটতি তে সহায়তা করে।

 

৪। শারীরিক বা মানসিক অসুস্থতা।

 

৫। ঘুম না হওয়া বা ঘুমের অভ্যাসের পরিবর্তন। এ প্রজন্মের সবচেয়ে বড় শত্রু এটি।

 

৬। Eating Disorders ৪/৫ ধরণের আহার ব্যাধি রয়েছে যা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক প্রক্রিয়াকে ব্যঘাত ঘটায়।

 

মূল কথা হলো এই সবগুলা ফ্যাক্টর আমাদের শরীরের হরমোনে ব্যপাক প্রভাব ফেলে বিশেষ করে সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরণে যা আমাদের ইরেটেবল মেইল সিন্ড্রোম বা মেইল পিরিয়ডের দিকে টেলে দেয়। এতে করে আমাদের মেজাজ বিগড়ে থাকে অযথা এবং তার বাজে প্রভাব আমাদের সম্পর্কগুলোতে পড়ে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

CO2 Fractional Laser আপনার ত্বকের বন্ধু। এবার স্কিনের দাগ দূর হবে, এক নিমিষে!!
Advertisement
Please wait: 6 seconds