What is the reason that doctors give routine lab tests?
অধিকাংশ রোগী ও রোগীর আত্মীয়স্বজনেরর ধারণা ডাক্তার অহেতুক টেস্ট দেন।হয়তো কেউ কেউ কমিশনের কথা মনে করে।প্রত্যেক রোগের কিছু প্রাইমারী সিম্পমটম থাকে যা সব রোগের ক্ষেত্রে একই দেখা যায়।ডাক্তার সাহেব কনর্ফাম হওয়ার জন্য রোগীকে টেস্ট দিয়ে থাকেন।ব্যাকটেরিয়াল রিলেটেড জ্বর আর ভাইরাস রিলেটেড জ্বর একই সিম্পটম দেখায়।
এখন ঔষধ দিতে হলে বুঝতে হবে ঘটনা কে ঘটায়ছে।তাই টেস্ট দিলে বিরক্ত হবেন না, বরং কারণটা জেনে নিন।এতে রোগীর সুরক্ষা নিশ্চিত হবে।
আসুন জেনে নিই কমন কিছু পরীক্ষা কেন করা হয়:
১) CBC
# জ্বর হলে কি কারণে হচ্ছে তার ধারণা নেয়ার জন্য।অনেক সময় blood culture করতে হয়।
# শরীরে রক্তের পরিমাণ কেমন আছে জানার জন্য
# রক্তের ঘাটতি থাকলে সেটা আয়রণ বা ভিটামিনের অভাবে হচ্ছে কিনা জানার জন্য।
# শরীরে এলার্জি কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়
# রক্তে ইনফেকশন বা প্রদাহ কেমন তার ধারণা পাওয়া যায়
# রক্ত জমাট বাধার উপাদান কি পরিমাণ আছে তা জানা যায়
# ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে কিনা তার ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
২) Urine R/E প্রস্রাব টেস্ট
# ইনফেকশন আছে কিনা,থাকলে সিভিয়ারিটি কতটুকু
# ডায়াবেটিস আছে কিনা
# প্রোটিন যায় কিনা
# রক্ত যায় কিনা
# কিডনীতে পাথর আছে কিনা
৩) RBS-Random Blood Sugar
ডায়াবেটিস আছে কিনা তার ধারণা করার জন্য প্রাথমিক টেস্ট
৪) Serum Creatinine
যেইসব রোগীর কিডনীর সমস্যা হতে পারে বলে ধারণা করা হয় এ টেস্ট তাদের করা হয়।(প্রেশার ও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য বাধ্যতামূলক টেস্ট। ব্যথার ঔষধ দেয়ার আগেও এটেস্ট করা উচিত)
৫) Lipid profile
রক্তে চর্বির পরিমাণ বুঝার জন্য এটা করা হয়।হার্টের ও প্যানক্রিয়াটাইটিস রোগীর জন্য এটা খুব জরুরি।
৬) Serum Bilirubin
জন্ডিস আছে কিনা দেখা হয়।একদম প্রাথমিক টেস্ট।জন্ডিস হয়ে গেলে আরো টেস্ট করতে হয়।
৭) SGPT/SGOT
লিভারের কন্ডিশন বুঝার জন্য এটা করা হয়।লিভার কতটুকু এনজাইম উৎপন্ন করছে তা দেখা হয়।
৮) Serum Electrolyte
রক্তে খনিজের পরিমাণ জানার জন্য এটা করা হয়।শরীর দূবল লাগলে,বেশী বমি,ডায়রিয়া এসব ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা করা হয়।
৯) BT CT
রক্তরোগের ব্যাপারে ধারণা পাওয়া যায়।
১০) ECG
হৃদরোগের অবস্থা বুঝার জন্য প্রাথমিক টেস্ট
১১) Chest X-ray
বুকের ও হার্টের কন্ডিশন বুঝার জন্য করা হয়।
কোন টেস্ট অকারণে করা হয় না।অনেকসময় ঔষধের কার্যকরণ বুঝার জন্য করা হয়।তবে টেস্ট করলেই হবে না।সঠিকভাবে,সঠিক জয়গায় ও সঠিক মানুষ দিয়ে করাতে হবে।না হয় ভুল চিকিৎসার শিকার হতে পারেন।
টেস্টের সঠিক রিপোর্ট পাওয়ার নিয়মকানুন জানার জন্য এই লিংকে ঘুরে আসুন