একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনজনিত অসুখ।এটি পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো আক্রমণ করে।আমাদের দেশে এটি খুবই কমন একটি অসুখ।এটি একটি পানিবাহিত রোগ।
এটি যে ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয় তার নাম ” salmonella” এটি ফুড পয়জনিং এর জন্যও দায়ী।এটি খুবই সংক্রামক,এটি আক্রান্ত রোগীর মলমূত্রের মাধ্যমে ছড়ায়।
টাইফয়েড কেন হয়ঃ
এটি মূলত পানিবাহিত রোগ।”সালমোনেলা টাইপি” নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে এ রোগ হয়।
******টাইফয়েড কিভাবে ছড়ায়ঃ*****
# টাইফয়েড জীবাণু আছে এমন বাথরুম ব্যবহার করার পর মুখ স্পর্শ করলে
# দূষিত পানির মাছ বা অন্যান্য সামুদ্রিক খাবার খেলে
# কাঁচা শাক-সবজি খাওয়া,যেগুলো চাষ করতে মানব বর্জ্য ব্যবহার হয়েছে।
# কাঁচা দুধ খাওয়া
# সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে আক্রান্তা কারো সাথে ওরাল সেক্স বা এনাল সেক্স করলে
# এটি মূলত পানি ও খাবার মাধ্যমে বেশী ছড়ায়
সবচেয়ে ভয়ের কথা হলো,ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরেও অনেকের অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ পায় না।তারা ব্যাকটেরিয়াল ক্যারিয়ার হিসেবে কাজ করে এবং রোগ ছড়ায়।
ইনকোবেশন পিরিয়ডঃ সাধারণত শরীরে ব্যাকটেরিয়া ঢুকবার ১ সপ্তাহে থকে ২ সপ্তাহ এর মধ্যে লক্ষণ প্রকাশ পায়।
টাইফয়েড হলে যেসব ল্যাব টেস্ট করা হয় —
# CBC
# Urine R/E
# Widal Test
# ICT for Salmonella
# Blood Culture Test
# Stool Culture
# Urine Culture
# Bone Marrow Culture
টাইফয়েড টেস্ট এর খরচঃ ৩০০/
সর্তকতাঃ
# জ্বরের প্রথম সপ্তাহে টেস্ট করে লাভ হবে না কারণ রিপোর্টে কিছু আসবে না।
# অনেক সময় টাইফয়েড এন্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করার পরেও জীবাণু শরীরে থেকে যায় কিন্তু আপনিও সুস্থ। সেক্ষেত্রে টেস্টে পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
# অনেক সময় টাইফয়েড দীর্ঘদিন থাকে,সেক্ষেত্রে ২ টি ল্যাবে টেস্ট করার চেষ্টা করুন।
# টেস্টের সময় গায়ে জ্বর থাকতে হবে না,জীবাণু শরীরে থাকলে রিপোর্টে চলে আসবে।
টাইফয়েড জ্বর হলে কি কি খাওয়া উচিত ?
# প্রচুর পানি খেতে হবে।
# প্রচুর ফলমূল ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
# যেহেতু এন্টিবায়োটিক খেতে হবে, তাই মুখের রুচি ও দ্রুত সুস্থতার জন্য বেশী বেশী ভিটামিন-সি যুক্ত খাবার খেতে হবে।