A Leading Doctor information Site In Chittagong

kk
4
22
a5
a3
2
5
dr3 (1)

চিকিৎসা প্রক্রিয়ায় অবহেলা সন্দেহ, কি করা উচিত?

www.hellodoctorctg.com

Doubt of negligence in medical procedures, what should be done?

একজন ডাক্তার পড়াশোনা শুরুতেই “মেডিকেল ওথ” নেন।এটা একটি শপথ।একজন ডাক্তারের ধ্যানজ্ঞানই থাকে যে রোগীকে কিভাবে সুস্থ করা যায়।তারপরও সব চেষ্টা বিফলে গিয়ে মাঝে মাঝে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।তাই কিছু কিছু সময় ডাক্তার ও রোগীর আত্মীয়দের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হয়।চিকিৎসায় ভুল ছিল বা অবহেলা ছিল

।আসলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই অভিযোগ সত্য হয় না।আবেগজনিত কারণে মানুষের তখন লজিক কাজ করে না।তখন রোগীর আত্মীয়স্বজন ভুল করে বসেন,হাসপাতাল ভাংচুর করেন,ডাক্তারকে গালমন্দ করেন।এসব গুলোই অনুচিত কারণ তখনও অন্যান্য রোগী চিকিৎসাধীন এবং আইন হাতে তুলে নেয়া যায় না।

সব ডাক্তার বা হাসপাতাল এক সমান নয়।ভালো-খারাপ সব জায়গায় বিদ্যমান।আল্লাহ না করুন, যদি কোন ডাক্তার বা হাসপাতাল বা ক্লিনিক চিকিৎসায় অবহেলা করে তাহলে আমরা দেশের স্বাস্থ্য আইন অনুযায়ী কাজ করবো।

তাহলে কি করবো আমরা???

বাংলাদেশে রোগীদের সুরক্ষায় খুব বেশী ব্যবস্থা নেই।যাই হোক, চিকিৎসকদদের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ করার জন্য সরকারি একটি প্রতিষ্টান রয়েছে যা অনেকেই জানে না।

বাংলাদেশ মেডিকেল  এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল বা বিএমডিসি একটি সরকারী সংস্থা। এখানে যারা আছেন উনারা সবাই চিকিৎসক

অভিযোগ যেভাবে করবেন:

# যে হাসপাতাল বা চিকিৎসক সর্ম্পকে অভিযোগ,সেখানে যে সেবা নিয়েছেন তার সকল কাগজপত্র, চিকিি,প্রতিষ্টানের নাম,চিকিৎসার তারিখ,সময় সহ, কি কারণে সে অবহেলা মনে করছে তার একটি ব্যাখা সহ বিএমডিসির রেজিস্ট্রার বরাবর অভিযোগকারীর সই ও ঠিকানা সহ লিখিত অভিযোগ করতে হবে।

# এরপর অভিযুক্ত ব্যক্তির কাছে সেই অভিযোগের কপি পাঠানো হবে।তাকে কাউন্সিলের কাছে জবাব দিতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হবে।

# সেই বক্তব্য পাওয়ার পর বিএমডিসি অভিযোগকারীকে সেটি জানাবে।

# তার সেই বক্তব্যে আপত্তি থাকলে তিনি সেটি গ্রহণ না করার অধিকার রাখেন।

# অভিযোগ তখন একটি শৃঙ্খলা কমিটির কাছে যাবে।কমিটি যদি মনে করেন এই ঘটনার তদন্ত করা প্রয়োজন তাহলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।তারা হাসপাতালে যাবে,ডদন্ত করবে এবং প্রতিবেদন জমা দিবে।

হাসপাতালে সমাজসেবা বিভাগের কার্যক্রমের কাজ কি?

তবে, দুঃখের কথা হলো ৯৫% মানুষ অভিযোগ নিয়ে যেতে চান না।যার কারণে বিএমডিসি চাইলেও কোন ব্যবস্থা নিতে পারে না।আমাদের উচিত হাসপাতাল ভাংচুর না করে অভিযোগ নিয়ে যাওয়া।কারণে আমাদের নিজেদেরও ভুল হতে পারে যেহেতু আমরা নন-মেডিক্যাল।সব পেশায় ভালো-খারাপ আছে এবং তা কেউ অস্বীকার করে না।আমরা যা করার সঠিক প্রক্রিয়ায় এবং আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য থেকে করবো।

দেশের আইন সবার জন্য প্রযোজ্য।
ল্যাবে রক্ত পরীক্ষা করার আগে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিত

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *