A Leading Doctor information Site In Chittagong

kk
4
22
a5
a3
2
5
dr3 (1)

গরমে গর্ভবতী মায়ের যত্নে ১০টি পরামর্শ

10 tips for caring for a pregnant mother in hot weather

গর্ভাবস্থায় সাধারণত মহিলাদের শরীরে এমনিতেই রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।যদি সময়টা গরম কাল হয় তাহলে ভোগান্তিটা একটু বেশীই।তাই এসময় গর্ভবতী নিজে ও তার আশপাশের লোকজনকে বেশী সচেতন হওয়া উচিত।তাই গভবতী মায়েদের নিম্নের টিপস গুলো মেনে চলা উচিতঃচট্টগ্রামের সেরা ১০ স্ত্রী ও প্রসূতীরোগ বিশেষজ্ঞ

# প্রচুর পানি ও তরল জাতীয় পানীয় পান করা

গরমের সময় প্রচুর ঘামার কারণে ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা একটি সাধারণ সমস্যা।এই পানিশূন্যতা দূরীকরণে গর্ভবতী মাকে সারাদিন প্রচুর পানি পান করা উচিত।দেহে পানিশূন্যতা দেখা দিলে শরীর অনেক দূর্বল হওয়ার পাশাপাশি প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যায়।তাই এরূপ ঘটার পূর্বেই তাকে প্রচুর তরল জাতীয় খাবার যেমন ডাবের পানি,ফলের জুস,লাচ্ছি,লেবু মিশ্রিত পানি,দই ইত্যাদি দিতে হবে।প্রস্রাবের রং স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত খেতে হবে।

#সরাসরি রোদের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা

গরমের সময় গর্ভবতী মায়েদের বিশেষ করে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত সরাসরি রোদের মধ্যে না যাওয়ায় ভালো।তবে একান্তই যদি যেতে হয় তাহলে সানগ্লাস পড়ে ও সানস্ক্রিন প্রটেক্টেড লোশন গায়ে মেখে তারপরেই তাদের বাহিরে যাওয়া উচিত।এছাড়া ছাতা বা মাথায় টুপি ব্যবহার করেও সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।বাড়ীতে অবস্থান কালেও খেয়াল রাখতে হবে সে যেন বেশীরভাগ সময় ছায়ার মধ্যে থাকে।এসময় হাতে একটা পানির স্প্রে বোতল সাথে রাখা যেতে পারে যাতে গরম বেশী অনুভূত হলেই শরীরে হাল্কা পানি স্প্রে করিয়ে যায়।

# পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া

গরমে শরীর দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় বলে গর্ভবতী মায়েদের অতিরিক্ত বিশ্রামের দরকার হয়।এছাড়া এসময় তার পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করাও জরুরী।গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা থেকেও তাকে বিরত রাখতে হবে।তাকে এসময় চুলায় রান্নার কাজ থেকে দূরে রাখাই ভালো।অন্যজনের  সাহায্য নিয়ে এসব কাজ করা ভালো।আর ঘরের বিভিন্ন কাজ যদি করতেই হয় তবে সেটা সকালের দিকে করতে হবে।এসময় তূলনামূলক তাপমাত্রা কম থাকে।

# হালকা ও আরামদায়ক কাপড় পড়া

গরমের সময় সবার পোশাকই হালকা,ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক হওয়া উচিত।পোশাকটি এমন হওয়া উচিত যাতে শরীরে প্রচুর বাতাস লাগে।এজন্য পড়নের কাপড় সিনথেটিক না হয়ে সুতি কাপড় হওয়াই ভালো।

কারণ সুতি কাপড় তাপ কম শোষণ করে।তবে কাপড় ভিজিয়ে পড়া উচিত নয় তা যতই গরম লাগুক।

# গরমের সময় নিয়মিত গোসল করা

গরমের সময় বাহিরের তাপমাত্রা যেমন বেশী থাকে তেমন  শরীরের তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের চাইতে অনেক বেশী অনুভূত হয়।এজন্য শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ও প্রতিদিন গোসল করা দরকার,পারলে দিনে একাধিকবার গোসল করে নেয়া যেতে পারে বিশেষ করে পূর্বে গোসল করে নিতে পারলে শরীরের তাপমাত্রা কমে যায় ও আরামদায়ক ঘুম হয়।

# অল্প অল্প করে,বার বার খাওয়া

গভবতী মায়েদের এসময় অভ্যন্তরীণ পরিপাক ও বিপাক ক্রিয়া সহজ করতে একবারে না খেয়ে ঘন ঘন খাওয়া উচিত কিন্তু পরিমাণ কমিয়ে। এতে পাকস্থলীতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং গ্যাস হবার সম্ভাবনাও কমে যায়।

# পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত  খাবার খাওয়া

গর্ভকালীন সময়ে খাবার হওয়া চাই বিভিন্ন মিনারেল ও ভিটামিন যুক্ত।তাই যেসব খাবারে প্রোটিন, আয়োডিন,ক্যালসিয়াম ও আয়রন বেশী পাওয়া যায় যেমন  নানা প্রকার ফলমূল,শাকসবজি,ডাল,ডিম,সামুদ্রিক, মাছ ইত্যাদি খেতে হবে।চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।অতিরিক্ত চিনি এড়িয়ে চলা উচিত।

# ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় পরিত্যাগ করা উচিত

ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা,কফি পান করলে রক্তচাপ সহ দেহে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।এসব পানীয় অনেকের উদ্বিগ্নতা ও বিরক্তিভাব বাড়ায়।তাছাড়া অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন সহ গর্ভবতীর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

# বাইরের খোলা ও বাসি খাবার না খাওয়া

বাইরের খাবার খাওয়া যাবে না,এতে জন্ডিস,ডায়রিয়া,কলেরা,টাইফয়েড এসব হতে পারে।যা মা ও সন্তানের ক্ষতি করতে পারে।

# ঠান্ডা ও আরামদায়ক স্থানে ঘুমানো

গর্ভবতী মায়েদের শোবার ঘর ঠান্ডা ও আরামদায়ক  হওয়া জরুরী। নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বাতাসের প্রবাহ জরুরী। এসময় ঘুমেী ব্যাপারে বিশেষ যত্নশীল হওয়া উচিত কেননা এতে শরীর ও মন দুটোর উপর চাপ পড়ে।বিছানার চাদর সুতির হতে হবে।

একজন সুস্থ মা, একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিতে পারে।তাই গর্ভকালিন সময়ে তাদের দরকার বিশেষ যত্ন।বিশেষ করে,গরমের সময় নেয়া প্রয়োজন।এসময় একটু অসাবধানতা গর্ভবতীর নিজের ও তার অনাগত শিশুর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *