চিকিৎসা পেশা একটি পুরোপুরি সেবাধর্মী পেশা।পৃথিবীর আর কোন পেশায় সরাসরি মানুষের এতটা সেবা করা যায় না।শারীরিক সমস্যা যেহেতু স্পর্শকাতর একটি বিষয়,মানুষের স্বাভাবিক আশা থাকে ডাক্তারের কাছে গেলেই সে সেবা পাবে এবং সুস্থ হয়ে যাবে।সাধারণ মানুষের এই আশাটা অবশ্যই যুক্তিযুক্ত।
তবে আমাদের জেনে নেয়া উচিত- কিছু কিছু সময় ও ক্ষেত্রে একজন ডাক্তার সেবা দিতে বাধ্য নন।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ডাক্তারদের এই অধিকারটি সবার জানা দরকার——
# যদি ডাক্তার নিজেই সুস্থ না থাকে (অসুস্থতা, এলকোহল পান ইত্যাদি কারণে)।
# পূর্বে সে সম্পর্কিত বিষয়ে যদি তিক্ত অভিজ্ঞতা থাকে, তাহলে ডাক্তার চাইলে এমন নতুন রুগীকে চিকিৎসা নাও দিতে পারবে।
# নিজের কর্মঘণ্টার বাহিরে। কর্মঘণ্টার বাহিরে তিনি চাইলে রুগী দেখতেও পারেন, নাও পারেন।
# রুগীর বাড়ি গিয়ে রুগীকে দেখার কোন বাধ্যবাধকতা ডাক্তারের নেই।
# অনেক সময় ইমার্জেন্সি মুহূর্তে একজন রুগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয় মানবিকতা বিচার করে। তবে এর মানে এই নয় যে সেই রুগীকে ডাক্তার তার নিজস্ব রুগী হিসেবে গ্রহন করে নিয়েছেন। তিনি চাইলেই পরবর্তীতে সেই রুগীকে অন্য হাসপাতাল কিংবা ডাক্তারের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারেন।
# ডাক্তারের ফী কিংবা তিনি যেভাবে চিকিৎসা দিতে চান সেটা যদি রুগী মেনে না নেয়, তাহলে একজন ডাক্তার চাইলে সেই রুগীকে চিকিৎসা নাও দিতে পারেন।
# যদি একজন ডাক্তার মনে করেন যে তিনি সেই রোগের চিকিৎসা দিতে পারবেন না কিংবা চিকিৎসা দেওয়ার মত প্রয়োজনীয় সুবিধা, যন্ত্রপাতি, ওষুধ, স্টাফ ইত্যাদি তার কাছে নেই, তাহলে তিনি চাইলেই রুগীকে চিকিৎসা না দিয়ে উপযুক্ত জায়গায় রেফার করে দিয়ে পাঠাতে পারেন।
# রুগী যদি ডাক্তারের সাথে দুর্ব্যবহার করে (মানসিক সমস্যা ছাড়া)।
# যদি ডাক্তারের নিজের কিংবা পরিবারের ক্ষতি কিংবা জীবননাশের আশংকা থাকে।
# নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে।
# রুগী নিজেই যদি ক্ষতিকর কোন ওষুধ চায়।