অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে ব্যায়ামচর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়ামচর্চা হাড় গঠনে ও হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।অস্টিওপরোসিসের জন্য ব্যায়ামচর্চার কিছু প্রকারভেদ আছে,যেমনঃ
# ভারবহন
# পেশী বলকারক
# ভারসাম্য
# দেহভঙ্গি
# ক্রিয়ামূলক
ভারবহন ব্যায়ামঃ ২ প্রকার
# বেশী ধকল সম্পন্ন
# কম ধকল সম্পন্ন
# বেশী ধকল সম্পন্ন ব্যায়াম
১) হাইকিং
২) স্বপ্ল গতিতে দৌড়ানো
৩) দড়ি লাফানো
৪) টেনিস খেলা
৫) সিড়ি উঠানামা করা
৬) নাচা ইত্যাদি
বিঃদ্রঃ বেশী ঝুঁকিপূর্ণ রোগীর জন্য বেশী ধকল সম্পন্ন ব্যায়াম প্রযোজ্য নয়।
# কম ধকল সম্পন্ন ব্যায়ামঃ
১) স্বল্প পথ হাটা-হাটি করা
২) ইলিপটিক্যাল মেশিনে ব্যায়াম
৩) সিড়ির ধাপ মেশিনে ব্যায়াম ইত্যাদি
পেশী বলকারক ব্যায়ামঃ
সাধারণত অভিকর্ষের বিপরীতে বল প্রয়োগ করে এ ব্যায়ামচর্চা করতে হয়,যেটা মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে।যেমনঃ
১)ভার উত্তোলন
২) প্রসারণশীল ফিগা/ব্যান্ড টানা
৩) নিজ শরীর উঠানো ইত্যাদি
ভারসাম্য ব্যায়াম:
হঠাৎ পড়ে যাওয়া,অস্টিওপরোসিস রোগীদের হাড় ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম কারণ।ভারসাম্য ব্যায়াম কৌশল পায়ের মাংসপেশী সমূহকে সবল করে এবং শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সাহায্য করে।যেমনঃ
# পায়ের আঙ্গুলের উপর দাড়িয়ে ভারসাম্য
# পায়ের গোড়ালির উপর দাড়িয়ে ভারসাম্য
# দেয়াল হড়কানি, ইত্যাদি
# দেহভঙ্গি ব্যায়াম
এই ব্যায়াম কৌশল সমূহ দেহকাঠামোর উন্নতি করে,বিশেষ করে কাঁধ সন্ধি ঢালু হয়ে যাওয়ার প্রবণতা কমায়।যেটা মেরুদন্ডের হাড় ভাঙ্গার ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।
ক্রিয়ামূলক ব্যায়াম
দৈনন্দিন কাজকর্ম সহজে করতে সাহায্য করে এবং পড়ে গিয়ে হাড় ভাঙ্গার ঝুকি কমায়। যেমনঃ
১) বসা-উঠা
২) শোয়া-বসা
৩) উঠা-হাটা
৪) সিঁড়ি উঠা,ইত্যাদি
বিঃদ্রঃ যে কোন ব্যায়ামের ধরন,মাত্রা,সময়সীমা ইত্যাদি রোগীর শরীরের সার্বিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।সুতরাং পরামর্শ নিয়ে ব্যায়ামচর্চার পরিকল্পনা করা উচিত।
কৃতজ্ঞতা:-
ডাঃ মাহফুজুর রহমান
এমবিবিএস,এফসিপিএস
(ফিজিক্যাল মেডিসিন ও রিহ্যাবিলিটেশন)
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ
চেম্বারঃ পার্কভিউ হসপিটাল লিমিটেড
চীফ কনসালটেন্ট,
খিদমাহ পেইন এন্ড পারালাইসিস কেয়ার
যোগাযোগ ও টেলিমেডিসিনঃ ০১৩১২- ৩৯৫ ৬৩৮