অতিরিক্ত ভিটামিন আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে!

অতিরিক্ত ভিটামিন আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে!

আমরা বিভিন্ন সময়ে ভিটামিন খেয়ে থাকি।মূলত অসুস্থ হবার পরে, সার্জারী করার পরে রোগীকে এক্সট্রা ভিটামিন খেতে বলা হয়।এটা সাধারণত রোগীর দূর্বল শারিরিক অবস্থা ও দ্রুত শরীর রিকোবারির জন্য বলা হয়।কিন্তু এর বাইরে আমরা ছোট-বড় সবাই ভিটামিন খেয়ে থাকি,যা একদম অপ্রয়োজনীয়।

যা নিয়মিত খাবার খেলে পুষে যাবে সেই জায়গায় মেডিসিন নেয়ার দরকার নেই।মানবদেহ তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিটামিন শরীরে রাখে না।মল ও মুত্রের মাধ্যমে বের করে দেয়।ভিটামিন নিজেই একটি টক্সিক ক্যামিকেল। এই অতিরিক্ত ভিটামিন খাওয়ার কারণে জীবন নিয়ে সংশয় হতে পারে।এটা একদম রেয়ার,তবে হতে পারে।আরো যা হতে পারে বিভিন্ন অঙ্গে সমস্যা হতে পারে,এমনকি বন্ধও হয়ে যেতে পারে।

# ক্যালসিয়াম: অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম খেলে রক্তে এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য, কিডনিতে পাথরসহ আরও কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। দীর্ঘদিন ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি একসঙ্গে উচ্চমাত্রায় সেবন করলে অনেক সময় এ সমস্যা দেখা দেয়।

# ভিটামিন-এ: উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ সেবন গর্ভবতী নারীদের জন্য বিপজ্জনক। কেননা টক্সিক মাত্রায় ভিটামিন এ অনাগত শিশুর নানা ধরনের জন্মগত ত্রুটির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া উচ্চমাত্রার ভিটামিন এ যকৃৎ, হাড় ও ত্বকের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ঘটনাবশত হঠাৎ বেশি ভিটামিন এ খেয়ে ফেললে বমি, মাথাব্যথা, ত্বকের সমস্যা হতে পারে।

# ভিটামিন-সি: এক গ্রামের বেশি ভিটামিন সি একসঙ্গে খেয়ে ফেললে ডায়রিয়া হতে পারে। শিশুরা চুষে খাবার ভিটামিন সি লজেন্স বেশি খেয়ে বিপদ ঘটাতে পারে।

# লৌহ: আয়রন বা লৌহজাতীয় বড়ি গ্যাস্ট্রিকের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, কোষ্ঠকাঠিন্য করতে পারে। থ্যালাসেমিয়া ও জন্মগত হিমোগ্লোবিন ত্রুটি আছে, এমন রোগী আয়রন খেলে যকৃৎ, মস্তিষ্ক ও বিভিন্ন গ্রন্থিতে অতিরিক্ত আয়রন জমে অকার্যকারিতা দেখা দিতে পারে। এদের আয়রন বড়ি খাওয়া নিষেধ। তা ছাড়া বেশি মাত্রায় আয়রন যেকোনো মানুষের পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা করতে পারে। শিশুরা বেশি আয়রন খেয়ে ফেললে বিষক্রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

# জিংক: মাল্টি ভিটামিন বড়িতে জিংক উপাদান থাকে। জিংক একটি প্রয়োজনীয় ও উপকারী উপাদান। কিন্তু অতিরিক্ত জিংক দেহে স্বাভাবিক লৌহ ও কপারের শোষণ কমিয়ে দিয়ে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি করতে পারে।

# ভিটামিন-বি: ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্নায়ু ভালো রাখে বলে ধারণা করা হয়। কিন্তু অতিরিক্ত ভিটামিন বি৬ নিজেই স্নায়ুর ক্ষতি করতে সক্ষম।

# ভিটামিন-ডি: মাত্রাতিরিক্ত ভিটামিন ডি, বিশেষ করে কোলেক্যালসিফেরল রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

# ফ্লোরাইড: অনেক সময় পানিতে বা টুথপেস্টে অতিরিক্ত ফ্লুরাইড যোগ করা হয়। ফ্লুরাইড দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় হলেও অতিরিক্ত ফ্লুরাইড দাঁতের এনামেলের ক্ষয় করে ও দাঁতকে হলুদ করে।

(ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ভিটামিন নেয়া যাবে না)

অতিরিক্ত ভিটামিন আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to top